শরীয়তপুর প্রতিনিধি: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নিশ্চিতে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা নিবার্চন অফিসের কর্মকর্তা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই এ সেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দালালদের দৌরাত্ম নেই বললেই চলে। দালাল ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো সময় নিবার্চন অফিসে গিয়ে সরাসরি কর্মকর্তার কাছ থেকে এনআইডি বিষয়ে সেবা নিতে পারছেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা প্রদানের লক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে নানা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন খান যোগদানের দীর্ঘ ৯ মাসে অফিসকে দালাল মুক্ত করা এবং গ্রাহককে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা ছাড়াও পাল্টে গেছে উপজেলা নির্বাচন অফিসের আঙ্গিনার চিত্র। অফিসের বারান্দায় ও নির্বাচন ভবনের ছাদে বিভিন্ন ফুলের চারা ও শাকসবজির গাছ লাগানো হয়েছে। এতে করে ভবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা নির্বাচন ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয তালায় একটি ‘হেল্পডেস্ক’ করা হয়েছে। হেল্পডেস্ক থাকায় সেবাভোগীদের কাজের তথ্যাদি ও জাতীয় পরিচয় পত্র সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন। রয়েছে পানি পিপাশু মানুষের জন্য ঠান্ডা ফিল্টারিং পানির ব্যবস্থাও। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট থেকেও অনেক প্রবাসীরাও কাঙ্খিত সেবা পেয়েছেন।
সেবা নিতে আসা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব বেপারী বলেন, এনআইডি কার্ডের সমস্যা নিয়ে কেউ আসলে মনজুর হোসেন দ্রুত সমাধান করে দেন। মনজুর সাহেব আসার পর নির্বাচন অফিসে কোন দালাল বা কোন কিছুর সুপারিশ করতে হয় না। নির্বাচন অফিসকে সৌন্দর্য করে তুলতে ছাদে সবজির বাগান করা হয়েছে এবং বারান্দায় অনেক ফুলের চারা লাগানো হয়েছে। পরিবেশটাই অন্যরকম হয়ে গেছে। নির্বাচন অফিসের সেবা নিতে কোনো মানুষকে এ পর্যন্ত হয়রানি হতে হয়নি।
দুবাই প্রবাসী রুবেল বলেন, এর আগে দুই তিন বছরে যে কাজটি আমার হয়নি, সেই এনআইডি কার্ডের নামের ভুলের সংশোধনটি আমি এবার খুব সহজেই ২৩০ টাকার সরকারি খরচেই হাতে পেয়েছি।
প্রতিবন্ধী ছোট ভাইকে নতুন ভোটার করতে আসা রাকিব বলেন, নির্বাচন অফিসের হেল্প ডেক্সের দুই নাম্বার টেবিলে আমি আমার ছোট ভাইয়ের সব তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। এ পর্যন্ত আসতে আমার কোন দালাল বা কোন কিছুর খপ্পরে পড়তে হয়নি। আমার ভাইকে আমি নিজে নিজেই ভোটার করাতে নিয়ে এসেছি। এখানে আসার পর অফিসে কোন টাকা পয়সাও চায়নি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মঞ্জুর হোসেন খান বলেন, অন্যান্য উপজেলার মতো ভেদরগঞ্জ উপজেলায় সংশোধন ও নতুন ভোটারের প্রচুর চাপ আছে। বিগত ৯ মাসে এখানে ৩ হাজার ৬০০ মতো আমি সংশোধন করেছি। আর প্রতিদিনের কাজ আমি প্রতিদিন করে ফেলি এ ক্ষেত্রে কারও সুপারিশ বা কোন দালালের ছত্রছায়া নির্বাচন অফিসে জায়গা পায়নি। এখানে দুইটি হেল্পডেক্স করা হয়েছে এবং সরাসরি আমার কাছে আসলে আমিও যেকোন সমস্যা আইনানুসারে সমাধান করে দিচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী যেভাবে ভোট করতে হবে এবং যেভাবে সংশোধন করতে হবে, সেভাবেই আমরা কার্যক্রম করে সেবা দেই। অর্থাৎ এখানে জাতীয় পরিচয় পত্রের কোন কিছুই ঠিক করতে বা পেতে তদবির বা সুপারিশের প্রয়োজন হয় না। গত নয় মাসে আমি ৫ হাজার নতুন ভোটার করিয়েছি। সকল ভোটারের সঠিক তথ্য কালেক্ট করে নিয়মের মধ্যে থেকে আমি সব ভোটার করেছি এখানে কোন সুপারিশ কাজ হয়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available