ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি দখলে করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। সময়মত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় জমি দখলমুক্ত করতে অনেকটাই ব্যর্থ হচ্ছে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ। আর এ সুযোগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জমি দখলের পর হাত বদল করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড, মুন্সিরহাট, টাংগন ব্রীজ এলাকার জলেশ্বরীতলা, ভুল্লীসহ বেশকিছু স্থানে সড়ক জনপদ বিভাগের জমি অবৈধভাবে দখলের পর গড়ে তোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। এসব স্থানে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা বছরের পর বছর দখল করে থাকলেও উচ্ছেদে কার্যত পদক্ষেপ নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃপক্ষের।
শুধু তাই নয় সড়ক জনপদ বিভাগের সুত্র বলছে, জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র টাংগন ব্রীজ এলাকায় সড়কের পাশে কয়েক বছরে ১শ পরিবার অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এতে সংকুচিত হয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সম্পত্তি। আর এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে নজরে আসে সড়ক জনপদ বিভাগ প্রধাণ কার্যালয় কর্তৃপক্ষের।
এ অবস্থায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতে ২০২০ সাল থেকে কয়েক দফায় চিঠি দেয়া হয় ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার সুযোগে ওই এলাকায় গড়ে উঠছে নতুন নতুন স্থাপনা।
এ বিষয়ে সড়কের জমি দখল করে থাকা জয়নাল আবেদীন, সাকিব আহম্মেদ, ফরিদ ও মালেকসহ কয়েকজন জানান, জমি ফাঁকা করতে অনেক আগে সড়ক বিভাগ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। পরে আর কেউ আসেনি। আমরা এভাবেই আছি। সড়ক বিভাগের লোকজন ব্যবস্থা নিলে আমরা বিকল্প পথ দেখবো।
আর এ বিষয়ে সড়ক ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম সড়কের জমি দখল হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। টাংগন ব্রীজ এলাকায় অবস্থিত স্থাপনা উচ্ছেদে দাপ্তরিক কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available