ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: প্রতিবছরের মতো এবারও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ও আকচা ইউনিয়নের শুক নদীর তীরে বুড়িবাঁধে শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর রাতে বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় মাছ ধরার উৎসবে যোগ দিয়েছেন আশেপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা।
হাতে জাল নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে পানিতে নেমেছেন কয়েক হাজার মানুষ। কেউ ভেলায়, কেউ ছোট নৌকায় করে নেমেছেন মাছ ধরার প্রতিযোগিতায়। দৃশ্যটি ঠাকুরগাঁও বুড়ির বাঁধ এলাকার। প্রতি বছরের ন্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ও চিলারং ইউনিয়নের শুক নদীর বুড়িবাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব।
উৎসবে যোগ দিয়ে অসংখ্য মানুষ মাছ ধরতে ব্যস্ত। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশুও রয়েছে। বাদ যাননি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও। কারও হাতে পলো, কারও তে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছেন। অনেকে আবার ভিড় জমিয়েছেন মাছ ধরা দেখতে। এই মাছ উৎসব ঘিরে বাঁধ এলাকায় বসানো হয়েছে বিভিন্ন খাবারের দোকান।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১৯৫১-৫২ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য একটি স্লুইসগেইট নির্মাণ করা হয়। স্লুইসগেইটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)।
৫০ একর এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয় শুক নদীর উপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম। সারা বছর কাউকে এখানে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শুধু জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর এ সময়ই মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।
ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.গোলাম যাকারিয়া বলেন, ১৯৫১-৫২ সালের দিকে বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধটির সামনে মাছের একটি অভয়াশ্রম আছে। প্রতি বছর বাঁধটি ছেড়ে দেওয়ার পর এখানে মাছ ধরতে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। এই প্রকল্প কৃষি জমিতে সেচে পানি সরবরাহের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের মাছের চাহিদা পূরণে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available