বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় জেলখানার সীমানা প্রাচীরের বাইরে ড্রেনের ভেতর থেকে এক কারারক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে ৫টার দিকে জেলখানার দক্ষিণ পূর্ব কোণে অবস্থিত ২নং গেট সংলগ্ন ড্রেন থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মাথার বাঁ পাশে ক্ষত স্থান থেকে রক্ত পড়ছিল। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হলো সে বিষয়ে কারা প্রশাসন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি।
নিহতের নাম একরামুল হক(৪০)। তিনি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার কান্দা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। একরামুল বগুড়া কারাগারের ব্যারাকে থেকেই দায়িত্ব পালন করতেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. স্নিগ্ধ আখতার।
বগুড়া জেলখানার জেলার পদে কর্মরত ফরিদুর রহমান রুবেল জানান, সীমানা প্রাচীরের দক্ষিণ পূর্ব কোণায় অবস্থিত ২নং গেট এলাকায় বুধবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে যান একরামুল হক। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে হারেজ নামে কর্তব্যরত রিজার্ভ হাবিলদার আমাকে জানান যে, কারারক্ষী একরামুলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর খুঁজতে গিয়ে বেলা ৩টার দিকে ২নং গেট সংলগ্ন ড্রেনের ভেতরে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, কারারক্ষীর পোশাক ও জুতা পরা অবস্থায় একরামুলের মরদেহ ড্রেনের ভেতরে উপুর হয়ে পড়ে আছে। তার মাথার অংশ ড্রেনের ওপর নির্মিত কালভার্টের দিকে ছিল। বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় একরামুলের কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পর তার নিখোঁজ হওয়ার তথ্য কেন ১১ ঘণ্টা পর বেলা ২টায় পাওয়া গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল বলেন, একরামুলের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর সেখানে মামুন নামে অপর এক কারারক্ষীর দায়িত্ব পালনের কথা ছিল। কিন্তু পরে জেনেছি যে অসুস্থতার কারণে সে (মামুন) দায়িত্ব পালন করেনি।
কারারক্ষী মামুনের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামুন বর্তমানে ডিউটিতেই আছেন। একরামুলের রহস্যজনক মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তদন্তাধীন বিষয়। তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাবে না।
কারারক্ষী একরামুলের শ্যালক রবিউল ইসলাম জানান, তার ভগ্নিপতির কোনো রোগব্যধি ছিল না।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. স্নিগ্ধ আখতার জানান, জেল খানার ১নং গেটসহ সীমানা প্রাচীরের বাইরে প্রায় সকল স্থানে সিসি ক্যামেরা থাকলেও যেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না। মৃত্যুর কারণ জানতে আমরা পুরো বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখবো। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরতহাল করা হবে এবং তারপর ময়না তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, পুলিশের একাধিক টিম এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available