ফরিদপুর প্রতিনিধি: ভাঙ্গায় দীর্ঘ ২৯ বছর পর গোপালগঞ্জ জেলা সদরের চাঞ্চল্যকর চা দোকানি সেকেন্দার শেখ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মফিজুর রহমান মাহফুজ (৫৭) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৯ অক্টোবর শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাহফুজকে রাজবাড়ী সদর থানার সজ্জনকান্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার মাহফুজ সদর উপজেলার কাঠি গ্রামের মৃত. মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
র্যাব জানায়, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার তেলিগতি এলাকার বাসিন্দা মৃত নজির শেখের ছেলে সেকেন্দার শেখ (৩০) কাঠি বাজারে চায়ের দোকান কর জীবিকা নির্বাহ করতেন। ১৯৯৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাতে সেকান্দার প্রতিদিনের ন্যায় চা বিক্রি শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে কাঠি পশ্চিম পাড়া এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশে ৭-৮ জন লোককে ফাঁকা জমিতে বসে থাকতে দেখেন। এসময় সেকেন্দার টর্চের আলো ফেললে দেখতে পান তারা গাঁজা সেবন করছে। সেকেন্দার তাদেরকে গাঁজা সেবনে মৌখিকভাবে বাধা দিলে মাহফুজ ও তার সহযোগীরা মিলে সেকান্দারকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুক, পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপায়, এতে তার মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেকান্দারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রাঠায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেকেন্দার শেখের ভাই এনায়েত শেখ বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১০, সিপিসি-৩ এর কম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার কেএম শাইখ আকতার জানান, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাই আত্মগোপনে চলে যায়। তাদের মধ্যে মো. মফিজুর রহমান মাহফুজ রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে আত্মগোপনে ছিলেন। ঘটনা জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি দল চাঞ্চল্যকর চা দোকানদার সেকান্দার শেখ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় মো. মফিজুর রহমান মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মাহফুজকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available