নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে ভেড়ভেড়ি কামাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে।
গত ১৩ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ি থেকে না নেমে চলে যান ডিজির প্রতিনিধি। পরবর্তীতে আবারও পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ২০ অক্টোবর শুক্রবার সকালে মোট ৩টি পদে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে এ নিয়োগ সম্পন্ন করেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল আটটায় পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও আটটা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত কেউ মাদ্রাসায় উপস্থিত হননি। সকাল প্রায় নয়টার সময় ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজিবুল আহসান ও মাদ্রাসা সুপার নূহু ইসলাম একটি মাইক্রোবাসে করে প্রতিষ্ঠানে আসেন। এসেই তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা নেয়া শুরু করেন তারা। অথচ, নিয়োগ পরিপত্রে বলা আছে, প্রতিষ্ঠানে এসে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করতে হবে। কিন্তু তারা আগে থেকেই প্রশ্নপত্র তৈরি করে নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। পরীক্ষা শুরুর আগে ২ জন প্রার্থী ছাড়া অন্যদের প্রবেশপত্র সাথে ছিল না। কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেখে চাকরির আবেদন ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন এমন প্রশ্ন করা হলে, এর কোনো উত্তর সাংবাদিকদের দিতে পারেনি চাকরি প্রত্যাশীরা।
একটি সূত্র জানায়, ডিজির প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর রাতে সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি রাত্রিযাপনের জন্য নীলফামারী সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাতের মধ্যে ভেড়ভেড়ী কামাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোখলেছার রহমান ও সুপারের উপস্থিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করেন তারা। ২০ অক্টোবর সকালে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার জন্য উত্তরপত্র রেডি করা হয়।
পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন জানান, এই প্রতিষ্ঠানে কোনো ছাত্রছাত্রী দেখি না আমরা। এখানে ওনারা সবাইকে চাকরি দিতে টাকা নেন। আপনারা রিপোর্ট করেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আমি এর জবাব দিব। তিনি আরও বলেন, এবার তিনটি পদের বিপরীতে টাকা নেয়া হয়েছে ১৩ জনের কাছ থেকে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার নূহ ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত আছি বলে তিনি লাইন কেটে দেন।
টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের ব্যাপারে জানতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজিবুল আহসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অনিয়ম ও দুর্নীাতর অভিযোগ থাকার পরেও আপনি কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন জানতে চাইলে, ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর কোন সদউত্তর না দিয়ে তিনি দ্রুত মাইক্রোবাসে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available