মো. আল আমিন, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নে হাঁস-মুরগির ছোট্ট খোঁয়াড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসহায় এক দম্পত্তি। দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ ছমেদ আলী (৬৭) ও তার স্ত্রী কদবানু (৪০) বসবাস করছেন একটি বেসরকারী সংস্থা দেয়া হাঁস- মুরগী পালন করার ছোট্ট খোঁয়াড়ে। এমন মানবেতর দৃশ্যের দেখা মিলেছে উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর এলাকার বাগপাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়কের পাশে কাটাখালী খালের নোংরা ও দুর্গন্ধময় স্থানটিতে হাঁস-মুরগি পালনের খোঁয়াড়ে অসুস্থ বৃদ্ধ ছমেদ আলী ও তার স্ত্রী বসবাস করছেন। তাদের নিজেদের কোন জমি বা ঘড় নেই। থাকার জায়গা নেই। তাই কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই এখানে বসবাস করছেন এ বৃদ্ধ দম্পত্তি।
কথা বলে জানা যায়, তাদের নিজেদের কোনো সহায় সম্বল, জায়গা জমি, এমনকি থাকার মতো কোন ঘরও নেই। দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ এ এলাকাতে বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রিত থেকে বসবাস করছিলেন তারা। ছমেদ আলীর জন্ম জিঞ্জিরাতে হলেও এ গ্রামের সহায়সম্বলহীন কদবানুকে বিবাহ করে এ গ্রামেই বসবাস শুরু করেন। গ্রামের লোকজন ছমেদ আলীকে জামাই বলে ডাকে। অভাব অনটনের সংসারে নিজে ছোটখাট ফেরি করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করে দুজন। সম্প্রতি অসুখে ভুগে ঠিকমতো ফেরি করতে না পারায় আছেন খেয়ে না খেয়ে।
মুরগির খোঁয়াড়ে থাকেন কেনো জিজ্ঞাস করাতে ছমেদ আলী বলেন, নিজেদের জায়গা, জমি নেই। টাকা পয়সাও নেই যে কোথাও জমি কিনে ঘর করবো। নিজের ঘর থাকলে কি কেউ মুরগির খোঁয়াড়ে থাকে! সরকার যদি আমাদের একটা ঘড় দিতো তাহলে শেষ বয়সে অন্তত একটা মাথা গোজার ঠাই হতো।
সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা পান কি না জিঞ্জাস করাতে কদবানু বলে, ‘আমাদের গ্রামের অনেকে সাধ্যমত সাহায্য করতো আগে । এখন দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতীর কারনে আমরা খেয়ে না খেয়ে কোনমতে বেচে আছি। সরকার যদি আমাগো একটা ঘর দিতো তাইলে একটু শান্তি পাইতাম।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available