স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা: যেকোনো দুর্যোগ এলেই উপকূলীয় জেলা ভোলায় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। তাই ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় প্রস্তুত ভোলা জেলা প্রশাসন। ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান একথা জানান।
তিনি জানান, ইতোমধ্যেই ভোলায় ৭নং সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় ভোলায় ৭৪৩টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও সকল মুজিব কেল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ সাত উপজেলায় মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি ভলান্টিয়ার ও ৯২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া সকাল থেকে ভোলার সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে উপকূলীয় নদীতে নৌকা, ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুপুরের দিকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চরাঞ্চলের মানুষদের আনা শুরু হবে।
এছাড়াও প্রয়োজনে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। জেলেরা যারা সাগরে বা দূরবর্তী স্থানে রয়েছে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য খবর পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর বেড়িবাঁধের তদারকি চলছে।
ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী প্রস্তুতি, ঘূর্ণিঝড় কালিন ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার অভিযান এই ৩টি ধাপে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় কাজ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available