কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলার আজম সড়কের উপড়ে পড়েছে অন্তত শতাধিক গাছ। এছাড়াও সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে এলোমেলো রয়েছে বৈদ্যুতিক তার। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে দুটি ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন কুতুবদিয়ায় আঘাত হানে।
সরেজমিনে বুধবার সকালে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে সড়কের উপর আছড়ে পড়া গাছ সরাচ্ছেন স্থানীয়রা। এছাড়া কেউ কেউ বসতঘর মেরামত করছেন।
আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিকদার জানান, বাতাসের তাণ্ডবে তার ইউনিয়নে অন্তত ২ শতাধিক ঘর ভেঙে গেছে। এ সময় আহত দু'জন সহ হাসিনা বেগমের পালিত একটি গবাদিপশুর মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, প্রাথমিক ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে সাড়ে ৫ শতাধিক কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৩ হাজারের বেশি ঘর আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষি খাতে আমন ধান ৫০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, শরৎকালীন সবজি ও শীতকালীন সবজি ৩৫ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে এ পর্যন্ত ১৮ জনের আহতের খবর পেয়েছি। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে সম্পূর্ণ নষ্ট ৫৫৭টি এবং আংশিক ৩০০৪টি বসতঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে আমার নির্বাচনী এলাকা কুতুবদিয়ায় ১৮ জন আহত হয়েছে এবং ৫ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো অনেক বসতঘরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গণনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available