ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্তদল। ২৫ অক্টোবর বুধবার বেলা ১২টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তারা।
অপর দিকে মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল ইসলাম নামের এক আহত যাত্রীর মৃত্যু হয়। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ১৮ জন।
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের ভাই বিল্লাল হোসেন বুধবার সকালে ভৈরব রেলওয়ে থানায় বাদী হয়ে মালবাহী ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন ভৈরব শহরের আমলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি বেলাবো উপজেলার সল্লাবাদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতি আর তাচ্ছিল্য ছিল বলেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দুর্ঘটনা ঘটতো না। এত মানুষের ক্ষতিও হতো না। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
তদন্ত কমিটি ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল সিগ্নাল সিস্টেম থাকায় একটি ট্রেনের সিগ্নাল দেওয়া হলে পরবর্তীতে লাইন ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত সফটওয়ারের মাধ্যমে অন্য কোন লইনে সিগনাল দেয়া যায় না। সব লাইনে লাল বাতি জ্বলে থাকবে। কিন্তু ঘটনার দিন কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি সিগনাল মানেননি। যার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ জন্য কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ৩ জনকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানান তদন্ত কমিটির সদস্য আবুল কালাম।
এ ঘটনায় ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে হলে পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাতে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ১৮ জন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available