রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা গাড়ি পোড়ায়, মানুষ পোড়ায়। তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যা করেছে, এখন তা আবার নতুন করে শুরু করেছে। বাস পুড়ানোর সময় বাসের হেলপারকেও পুড়িয়ে মারা হয়েছে । এসব করে তারা আবার দেশ চালাতে চায়। যারা মানুষ ও গাড়ি পোড়ায় রাঙ্গুনিয়ার বুকে তাদের জায়গা হবে না। রাঙ্গুনিয়ায় তারা যদি নামার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের দল তাদের শায়েস্তা করবে। ২৯ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উপকারভোগী সমাবেশ ও উন্নয়ন জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তথ্যমন্ত্রী এই হুশিয়ারি দেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেভাবে তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষ করেছে, মানুষের গাড়ি পুড়িয়েছে, তা সবাই দেখেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে, তার ৮ বছরের শিশুকন্যার বিলাপ কান্না যারা দেখেছেন, তারা চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না। মানুষের গাড়ি কি দোষ করেছে, একটা গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া মানে একটা পরিবারকে পুড়ে দেয়ার সামিল।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদারের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য খালেদ মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, পৌর কাউন্সিলর জালাল উদ্দীন, উপজেলা যুব লীগের সভাপতি বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল রাসু প্রমুখ।
৩০ বছরের বঞ্চিত রাঙ্গুনিয়া সমৃদ্ধি অর্জন করেছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়ার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেতো। এখন দেড় ঘন্টায় পুরো রাঙ্গুনিয়ায় ঘোরা যায়। পুরো রাঙ্গুনিয়া বদলে গেছে। রাঙ্গুনিয়ায় আগে যেসব বরাদ্দ হতো তা রাউজান, ফটিকছড়ি নিয়ে যাওয়া হতো। এখন সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি বরাদ্দ রাঙ্গুনিয়ায় আনা হচ্ছে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনি মুসলমানের উপর যেভাবে বোমা মারছে, মানুষ মারছে, শিশু মারছে, এসবের প্রতিবাদ একমাত্র শেখ হাসিনা করেছে। বিএনপি এবং জামায়াত একটি শব্দও করেনি। বলেছে আমাদের নেত্রী, আমি এবং আমাদের দলের নেতারা। অথচ ভোট আসলে তারা কড়া মুসলমান হয়ে যায় আর হিন্দু-বৌদ্ধদের উপর নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে, দেশকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভাজন করার চেষ্টা করে। তারা মানুষের শত্রু, তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available