রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির ২য় দিনে পৃথক কয়েকটি স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক দ্রব্য বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় ৭ জন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১ নভেম্বর বুধবার দিনগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল সালাম মেম্বার, যুবদল নেতা রাসেল, রবিউল, ফারুক, সওদাগর, যুবদল নেতা হুমায়ুন ও যুবদল নেতা লেয়াকত। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির ২য় দিন বুধবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের আধুরপাড়া এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে একদল দুর্বৃত্ত দুটি মালবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। পুলিশ সড়ক থেকে গাছের গুঁড়ি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এদিকে একই রাতে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের শান্তিরহাটের সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী কলেজ গেইট এলাকায় রাত দেড়টার দিকে আগুন লাগিয়ে একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তের দল। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও ভাঙচুর করা হয়। পরে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।
এ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকচালক মো. মোস্তফা। অপরদিকে একই দিন বিকেলে পদুয়া ইউনিয়নের রাজার হাট ব্রিজের পাশে একদল দুর্বৃত্ত বিস্ফোরক দ্রব্য বিস্ফোরণ ও লাঠিসোটা নিয়ে ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা কয়েকজনকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় স্থানীয় সামছুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ তহিদ মিয়া ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এই দু’টি মামলায় পুলিশ ৭ বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়।
বিএনপি ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের দলের নেতাকর্মীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের। তবে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছে, তাদের ফাঁসাতেই সরকার দলীয় লোকজন এইসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আহমেদ হাসনাত বলেন, আমাদের মামলা দিয়ে ফাঁসাতেই সরকার দলের কর্মীরা এইসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। রাঙ্গুনিয়ার বিএনপি নেতাকর্মীদের কেউই এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে আসমিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরেও গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকার গণবিদ্যালয়ের সামনে পার্কিং করে রাখা এবি ট্রাভেলসের দু’টি বাসে দুবৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available