ফরিদপুর প্রতিনিধি: চলতি রবি মৌসুমে ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষীরা ১ লক্ষাধিক মেট্রিকটন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতিমধ্যেই জেলার লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ চাষাবাদ শেষ করেছেন তারা। এবছর পেঁয়াজের ভাল দর পাওয়ায় রবি মৌসুমে বন্যার পানি নেমে যাওয়া সাথে সাথে চাষীরা ক্ষেত প্রস্তুত করেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদের জন্য। সরকারি আবাদের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভাল্ব রোপনে ব্যস্ত সময় পার করেছে।
শীতকালিন সময়ে দেশে শুধু ফরিদপুর অঞ্চলেরই এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে । অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে চাষীরা মুড়িকাটা ভাল্ব সংগ্রহ করে ক্ষেতে রোপনের কাজ শুরু করে। আবহাওয়া উপযোগি থাকলে রোপনের ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে ফসল ঘরে তুলতে পারে তারা ।
চলতি বছরের নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চাষীরা তাদের ফসলটি বাজারে তুলতে পারবে, আর এতে পেঁয়াজের অস্থির বাজার দর কিছুটা হলো স্থিতিশিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকারি হিসাব মতে প্রতি হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের উৎপাদন হয় ১৮ থেকে ২০ মেট্রিকটন । জেলায় এবছর ৫ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে এ পেয়াজ । যা থেকে উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ১ লক্ষ মেট্রিকটন ।
সরেজমিনে গেলে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষীরা জানান, আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের অনুকুলে থাকলে এবার ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তবে বাজার দর কৃষক পর্যায়ে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা পেলে খুশি হবেন তারা ।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ রফিকুল ইসলাম জানান, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলেই বাজার দরের অস্থিরতা কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে । তিনি আরো জানান, দেশের পেঁয়াজ মৌসুমে চাষীদের মুড়িকাটা পেঁয়াজ ভোক্তাদের জন্য অনেকটা সহায়ক হিসাবে ভূমিকা রাখে।
উল্লেখ্য, দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের দিকে থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর । ফরিদপুর অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে জন্য উর্বর । এ জেলায় বছরের ৩ প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয় । এরমধ্যে রয়েছে হালি পেঁয়াজ, দানা পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ অন্যতম ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available