কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে এক মাদরাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিহাব (৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থী আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ নভেম্বর শনিবার সকালে উপজেলার রহিমপুর আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিহাব উপজেলার রহিমপুর গ্রামের কাউছার মিয়ার ছেলে। সে রহিমপুর আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনায় মাদরাসার শিক্ষিকা তানিয়া বেগমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীর পিতা কাউছার। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় মাদরাসা থেকে শিহাবকে আনতে যায় তার মা রত্না বেগম। মাদ্রাসায় গিয়ে দেখেন শিক্ষিকা তানিয়া বেগম শিহাবকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। ছেলেকে পেটানোর কারণ জানতে চাইলে শিক্ষিকা তানিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে শিহাবের মাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। এমনকি তার সাথে থাকা ছোট ছেলে শিশু আবদুল্লাহকে (৪) ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।
মাদরাসায় কোমলমতি শিশুদের এমন নির্মমভাবে বেত্রাঘাত ও নির্যাতন বন্ধে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এ বিষয়ে মাদরাসার পরিচালক হাফেজ রমজান খান বলেন, ঘটনার সময় আমি মাদরাসায় উপস্থিত ছিলাম না। আমার মাদরাসায় শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলা নিষেধ রয়েছে। যদি কেউ এমনটা করে এবং শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে অভিযোগ আসে, তাহলে অভিযুক্ত শিক্ষকের ৩ মাসের বেতন কর্তন করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তানিয়া বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available