রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি: হৃদয় কর্মকারের বয়স যখন এক বছর তখন তার বাবা হিরেন কর্মকার মৃত্যু বরণ করে। ফলে ১০ বছর বয়সেই পরিবারের হাল ধরতে হৃদয়কে জীবন যুদ্ধে নামতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য হৃদয় এবং তার পরিবারের। গত চার বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে পঙ্গু জীবন বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাকে।
বলছি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালি এলাকার মৃত হিরেন কর্মকারের ছেলে হৃদয় কর্মকার(১৪)’র কথা। হৃদয় স্থানীয় মাছ ব্যাবসায়ীদের সাথে বিভিন্ন হাটে গিয়ে মাছ বেচাকেনায় সহযোগিতা করতো। এতে যাকিছু আয় হতো, তাতেই চলত তার সংসার।
জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর আগে নসিমন গাড়িতে করে মাছ নিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় গাজীর হাট নামক এলাকায় গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে যায় হৃদয়ের । তার মা তাকে প্রথমে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশার শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার চিকিৎসক হৃদয়ের পায়ের অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় ৪০ দিন চিকিৎসার পর চিকিৎসক জানান, হৃদয়ের পা আর আগের মতো ঠিক হবে না।
সেই থেকে হৃদয় ত্রুাচে ভর দিয়ে চলাচল করে। হৃদয়ের মা মানুষের কাছ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে কোনো রকমে সংসার চালান।
রাজাপুর উপজেলা পুটিয়াখালি এলাকার ফার্মেসি ব্যাবসায়ী হেলালের মাধ্যমে হৃদয়ের পরিবারের এমন দুর্দশার খবর পায় ‘মানবিক রাজাপুর’ নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। খবর পেয়ে মানবিক রাজাপুরের হাসানাত আবদুল্লাহ সুমনসহ সংগঠনের সদস্যরা হৃদয়কে একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান করে দেয়।
৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পুটিয়াখালি বাজারে হৃদয়কে একটি দোকান (স্টিলের বক্স) করে সেখানে মালামাল তুলে দেন তারা। এ সময় সেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটির সদস্যসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন । এমন দোকান পেয়ে সস্থির হাসি ফুটেছে হৃদয় ও তার মায়ের মুখে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available