বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে বিভিন্ন সময় ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত সাত ডাকাতকে আটক করেছে জেলা পুলিশ। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার মাদারিপুর, বরিশাল এবং বাউফল উপজেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
৮ নভেম্বর বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী পুলিশ অফিসে অয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক সময় বাউফল উপজেলায় বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে পুরো বিষয়ে তদন্তে নামে জেলা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে একটি ডাকাত চক্র ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে পটুয়াখালী জেলায় আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের একটি টিম মাদারিপুর জেলার রাজৈর থানার সামনের মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে আটক করে।
এরা হচ্ছেন কালাইয়ার বাচ্চু সরদার, কনকদিয়া এলাকার উজ্জল হোসেন, পূর্ব কালাইয়ার জুলহাস মাতব্বর ওরফে জুলফু ডাকাত এবং পিরোজুপর এলাকার ইন্দুরকানি এলাকার নজরুল শেখ।
আটক হওয়া ডাকাতদের দেয়া তথ্য মতে, রাতেই ডাকাত দলের সর্দার বরিশাল বাটাজোর এলাকার সোলায়মান হোসেন রনির বাড়িতে অভিযান চালালে রনি গোপন সুরঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদারীপুর ও ফরিপুর জেলা পুলিশকে ডাকাত সর্দার সম্পর্কে তথ্য দিলে তারা মাহাসড়কে চেক পোস্ট স্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর জেলা পুলিশ রনিকে আটক করতে স্বক্ষম হয়।
পরবর্তীতে বাউফলে ডাকাত দলকে আশ্রয়দাতা কলাইয়া এলাকার ২নং ওয়ার্ডের মো. আমিনুল ইসলাম এবং সুমন হোসেনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের বাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি লক কাটার, চারটি রামদা এবং দুটি শাবল উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, বাউফল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটে কালাইয়া ইউনিয়নে। সেখানকার মানুষ ডাকাত আতঙ্কে দিনাতিপাত যাপন করে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available