চৌহালী প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে চলতি আমন মৌসুমে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আমন চাষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। আর বাজার দর ভালো পেলে কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে আশানুরূপ ফলন হয়েছে বলে জানান উপজেলার মধ্যে জোতপাড়া গ্রামের কৃষক কমল মোল্লা ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বোনা আমন ধানের চাষে লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৬০০ হেক্টর ও রোপা আপন- ৯০ হেক্টর। এর মধ্যে উফসী বিভিন্ন জাতের আমনের চাষ হয়েছে বেশি। এধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে, ঢেপা ১ হাজার ৪০০ হেক্টর, হিজল দিঘা ৬০০ হেক্টর, দিঘা ৪০০ হেক্টর, ভাওয়ালিয়া ২৫০ হেক্টর, সরসরিয়া ৮২৫ হেক্টর ও কার্তিঝুল জাতের ধান চাষ হয়েছে ১২৫ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে বোনা আমন ৩ হাজার ৬০০ হেক্টর ও রোপা আমন ১৬১ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭১ হেক্টর বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ছাপ। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বাঘুটিয়া, খাষপুখুরিয়া, খাষকাউলিয়া ও উমারপুর ইউনিয়নের কৃষি মাঠে দেখা যায় অনেকেই ধান কাটছেন। কেউ ধানের আঁটি শুকাতে দিচ্ছে কেউবা আবার শুকানো ধান ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. ফজলুল, ফরমান আলী এবং বিনানই গ্রামের ইসাহাক শেখ জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারে আমন ক্ষেতের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আর পোকার সংক্রমণও তেমন একটা ছিলো না। উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ ভালো ধান পেয়েছেন।
চৌহালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাজেদুর রহমান বলেন, আমনের আধুনিক জাত সম্প্রসারণে কাজ করায় কৃষি বিভাগ বাম্পার ফলন আশা করছে। জাতগুলোর মধ্যে ব্রিধান ৭২, ৭৫, ৮৭ উল্লেখযোগ্য। আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হচ্ছে। কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবসে কৃষকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষকেরা উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আধুনিক চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন। বর্তমানে কম খরচে উচ্চ ফলনের পাশাপাশি পুষ্টির বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available