ফিরোজ হোসাইন, নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: একসময়ে আদালতের সব ধরনের কাজ পরিচালনা হতো নবাবগঞ্জের কোর্ট বিল্ডিং থেকে। তখন থেকেই জায়গাটি কোর্ট বিল্ডিং এলাকা নামে পরিচিত। এখন কোর্টের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে। বর্তমানে এ ভবনগুলোতে সরকারি বিভিন্ন দফতরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে নবাবগঞ্জের এ কোর্ট বিল্ডিং ও মাঠটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। চারপাশে নেই ইটের কোন বাউন্ডারি ও গেইট। এ সুযোগে যে যেভাবে পারছে দখলে রেখে ব্যবহার করছে মাঠটি।
১০ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ভাসমান কাপড় ব্যবসায়ীরা দখল করে রেখেছে কোর্ট বিল্ডিং মাঠটি। মাঠে বসানো হয়েছে ৩০-৩৫ টি কাপড়ের দোকান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাপড়ের দোকানে বেচাকেনা হচ্ছে। প্রথম দেখায় যে কেউ মনে করবে এটি কোন বাজার। কিন্তু এই কম্পাইন্ড থেকেই সরকারি বেশ কয়েকটি দফতরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে এখানে রয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, সমবায় অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস। কিন্তু অফিসগুলোর পক্ষ থেকে মাঠের সৌন্দর্য রক্ষায় বা সংস্কারে নেই কোন উদ্যোগ।
দীর্ঘদিন ধরে কাপড় ব্যবসায়ীদের দখলে থাকায় কোর্ট বিল্ডিং মাঠের সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। শুধু কাপড় ব্যবসায়ীরাই ভাসমান দোকান তুলে ব্যবসা করছেন এমন না, এখানে ডেকোরেটরের কাজের বাঁশ ও লাকড়ি ব্যবসায়ীরাও মাঠের একপাশ দখল করে ব্যবসা করচে। ইটের ছোট দেয়াল ঘেসে চারপাশে রাখা হয়েছে বাঁশ ও বড় গাছের টুকরো। গত বছর উপজেলা প্রশাসন এসব ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে কয়েকদিন সময় চান ঐ ব্যবসায়ীরা। অনেকদিন হয়ে গলেও কার্যত উচ্ছেদে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
স্থানীয়রা বলছে, আগে এ মাঠটি খোলামেলা থাকায় বিকেল প্রকৃতিক পরিবেশে সবাই হাটাহাটি করতো, বাচ্চারা খেলাধুলা করতো। কিন্তু কয়েকবছরের দখল ও দুষণে মাঠের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে, ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি মাঠ থেকে এসব ভাসমান দোকানপাট দ্রুত উচ্ছেদ করে উন্মুক্ত করে দেয়ার। এজন্য তার স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
বাগমারা বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, আমরা সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে মার্কেটে ব্যবসা করঠি। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি কোর্ট বিল্ডিং মাঠে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছে। ফলে মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা কমে গেছে আগের চেয়ে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বাগমারা বাজার কমিটির সহ-সভাপতি সাইফুল আলম চঞ্চল জানান, এ মাঠটি একসময় উন্মুক্ত ছিলো। মাঠে আমাদের বাচ্চারা খেলাধুলা করতো। কিন্তু দখল হয়ে যাওয়ায় মাঠের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। আমরা মাঠটি পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আ. হালিমের সাথে। তিন এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, সরকারি অফিসের মাঠে ভাসমান দোকান তুলে কাপড়, লাকড়ি বা অন্য কোন ব্যবসা করার সুযোগ নেই। কেউ এটা করে থাকলে সেটি সম্পুর্ন অবৈধ। আমি আপনাদের মাধ্যেমে শুনলাম, এখন সরেজমিনে তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেবো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available