দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকীতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ঐ গ্রামের অন্তত ৫০০ একর কৃষি জমিতে বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে এবং শুকনা মৌসুমে দ্রুত পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায় এসব জমিতে আমনসহ রবিশস্য চাষাবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। খালের ঐ অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে দখলমুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় কৃষকেরা।
১১ নভেম্বর শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ চরবয়েড়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ডাঙ্গার খালটি এখন একটি বদ্ধ খালে পরিণত হয়েছে। বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের ফলে খালটির স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ২ কিলোমিটার খালের মধ্যে দক্ষিণ দিক থেকে মাস্টার নূর আলী হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার অংশে ৩ জায়গায় বাঁধ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ বেহুন্তি, চায়না দুয়ারী জাল পেতে রেখেছে স্থানীয় অসাধু চক্র।
এ ঘটনায় খালের বাঁধ অপসারণ চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষে ইউনুস মৃধা, রাজ্জাক মৃধা, শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন মাছ চাষের কারণে শুকনা মৌসুমে খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় প্রয়োজনীয় পানি পাওয় যাচ্ছে না। বিপরীতে বর্ষার সময় খালের পানি উপচে খালপাড়ের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি জলাবদ্ধ হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্তদের একজন হারুন মৃধা জানান, আমরা গরু বাছুর নিয়ে চলাচলের জন্য বাঁধ দিছি। সাঈদ মৃধা নামের একজন ২ বছর মাছ চাষ করেছেন। কিন্তু তাতে আমাদের কোন উপকার হচ্ছে না। তাই এ বছর আর মাছ চাষ করিনি।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সাইদুল ইসলাম মৃধা বলেন, বাঁধের দক্ষিণ দিকে ধানের জমির সাথে উন্মুক্ত। সেখানে পরিত্যাক্ত কচুরিপানাযুক্ত খালে আমার বিরুদ্ধে মাছ চাষের অভিযোগ অসত্য। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মো. বাকের আলী বাবুল বলেন, আমি মেম্বার হওয়ার পর থেকে স্থানীয় কৃষকেরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, প্রবহমান খালে বাঁধ দেওয়ার কোন নিয়ম নেই, এটি অপরাধ। লিখিত অভিযোগ পেলে সরেজমিন তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available