মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীর হাড়াভাঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রীস আলী (টুকুল মাষ্টার)কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, অসাদ আচরণ ও সভাপতির স্বাক্ষর জালসহ নানা অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মুনছুর আলী। গত ২ নভেম্বর একটি পত্রের মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কারের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক, উপপরিচালক, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
হাড়াভাঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মুনছুর আলী বলেন, শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, একই পদে একাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগ, জেলা পরিষদের বরাদ্দ অর্থ লুটপাট, ইলিয়াস হোসেন নামের এক শিক্ষকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ না দেয়া ছাড়াও সভাপতির স্বাক্ষর জালসহ টিউশন ফি, ভর্তি ফি, পরীক্ষা ফি, শিক্ষার্থীদের বেতনের ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে ২০০৩ সালে ১২ ও ২০১৫ সালে ২৫ জনসহ বিভিন্ন সময়ে বিধি বহির্ভূত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে, যা অনৈতিক এবং কর্মরত শিক্ষকদের নিয়ম মাফিক নিয়োগ দেয়া হয়নি, সাহাব উদ্দীনকে দপ্তরি পদে ১২ লাখ ৭২ হাজার টাকা নিয়েও নিয়োগ দেয়া হয়নি, টাকাও ফেরত দেয়া হয়নি। এছাড়া গাজিউর রহমানকে ১০ লাখ টাকা নিয়েও পরিচ্ছনকর্মী পদে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাছাড়া সভাপতির স্বাক্ষর জালসহ নানা অভিযোগে ২৫ অক্টোবর জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস আলী কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
এদিকে গত ৯ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে ৫/৭ জন বহিরাগতকে নিয়ে সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ইদ্রীস আলী টুকুল জোর পূর্বক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষক কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে হাজিরা খাতা, বিভিন্ন রেজিস্টারসহ মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঐ রাতেই বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মুনছুর আলী বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি জিডি করেছেন।
এ ছাড়া হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইলিয়াস হোসেন বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা করেছেন। হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মওলা বকসের ছেলে সাহাব উদ্দীন বাদী হয়ে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে আরও একটি মামলা করেছেন। মামলা দুটি বর্তমানে মেহেরপুর আদালতে চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া প্রধান শিক্ষক ইদ্রীস আলীর (টুকুল মাষ্টার) ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available