নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীদের আক্রমণে তিন নারী আহত হয়। ১১ নভেম্বর শনিবার রাত ৮টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভা করিমপুর পূজামণ্ডপে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, একই এলাকার আলো রানী, লক্ষ্মী রানী দাস ও লক্ষ্মী রানী।
৩০-৩৫ জন ব্যক্তি এই হামলায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন করিমপুর কালী মন্দিরের সভাপতি গণেশ রবি দাস। পরে শনিবার রাতে স্থানীয় শেখ সেলিমকে (৫০) প্রধান আসামি করে এজাহার নামীয় আরও ২ জনের নাম উল্লেখ করে পূজামণ্ডপের সেবক আলো রবি দাস বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয় ২০ জনকে।
কালী মন্দিরের সভাপতি গণেশ রবি দাস বলেন, চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকায় ২৬ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠিত জয় শিবা রবি দাস সংঘ কালী মন্দির। এ মন্দিরের পূজামণ্ডপে কালী পূজা, স্বরসতী পূজা ও বিশ্বকর্মা পূজা বেশি হয়। পূজামণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় দাস সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, এ মণ্ডপে পূজা হলেই স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম এটা নিয়ে মতবাদ তৈরি করে। শনিবার সন্ধ্যার সময় পূজামণ্ডপে পুরুষ কেউ ছিল না। ওই সুযোগে সেলিমের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন লোক পূজামণ্ডপে হামলা চালায়। হামলায় তিনজন নারী আহত হয়। এছাড়া একটি বিশ্বকর্মা প্রতিমা ভেঙ্গে যায় এবং একটি নির্মাণাধীন প্যান্ডেল ভাঙচুর করে একটি প্রণামী বক্স ও প্রতিমার সরঞ্জামাদি লুট করে নিয়ে যায়। বেশ কিছু দিন আগে থেকে স্থানীয় শেখ সেলিম কালী মন্দিরের এ জায়গা নিজের দাবি করে বিরোধ চালিয়ে আসছে। জায়গার বিরোধে সে এ হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদুল আলম বলেন, একটা সরকারি খাস জমির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। ওরা প্যান্ডেল বানাতে গেছে প্যান্ডেলের একটি খুঁটি নড়াচড়া করেছে প্রতিপক্ষ। পূজার প্যান্ডেল তৈরি করার সময় ২ জন লোক গিয়ে মালিকানা দাবি করে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ৩ জন এবং অজ্ঞাত আসামি ২০ জন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available