যশোর (দক্ষিণ) প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল থেকে রং মিস্ত্রি ওমর ফারুক ওরফে সুমনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার না হতেই ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ১৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার সময় ঢাকার কোতয়ালী থানার শাখারী বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। তবে এ হত্যার সাথে জড়িত স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের মুল হোতা কামাল ও তার ২সহযোগী এখনো পলাতক রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় রং মিস্ত্রি ওমর ফারুক ওরফে সুমনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দশে মাঠে নামে ডিবি পুলিশের একটি দল। ডিবির এসআই মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম, শামীম হোসেনদের সমন্বয়ে ১ টি চৌকশ টিম ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্বর্ণ চোরাকারবারীদের ২৫টি বারে অনুমানিক ৩কেজি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ায় স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্রের মূল হোতা কামাল ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী সুমনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে মারধর করে।
পরে স্বর্ণ না পেয়ে তাকে হত্যা পর লাশ মাগুরা সদর থানার রামনগর এলাকায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। এর আগে ১৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে মাগুরা রামনগর থেকে নিহত সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিরা হলো কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার আলিকামুড়া গ্রামের সুনিল চন্দ্র দাসের ছেলে ডালিম কুমার দাস(৩৩), একই জেলার দেবিদার থানার রসুলপুর গ্রামের ঠাকুরদাস নিয়োগির ছেলে অঞ্জন নিয়োগি(৪৯) এবং পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দৌলত মুন্সির ছেলে মো. রিয়াজ মুন্সি(৩৮)।
জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার এবং অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওসি রুপন কুমার সরকার।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available