শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নে মধুপুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি রুবেল শেখের (৩০) বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত রুবেল উপজেলার চামটা ইউনিয়নের দিনারা (মধুপুর) গ্রামের মো. মতি শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ধর্ষককে গ্রাম্য সালিশে জুতাপেটা করে রেহাই দিয়েছেন গ্রামের মাতব্বররা।
এ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে শিশুটির পরিবার। তাদের অভিযোগ, ধর্ষকের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে এমন বিচার করেছেন মাতব্বররা। আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে সালিশ বৈঠকে মীমাংসা করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এর আগে, ১১ নভেম্বর শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর দুইটা পযর্ন্ত ওই ধর্ষকের বাড়ির নিচতলায় শিশুটিকে আটকিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত রুবেল।
ওই শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার সকালে তার মেয়ে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রতিবেশি রুবেল শেখ সকাল থেকে দুপুর পযর্ন্ত আটকে রেখে ধর্ষণ করে। মেয়ে ফিরে এলে মেয়ের অবস্থা দেখে তার সন্দেহ হয়। তার মেয়ে জানান, রুবেল গামছা দিয়ে মুখে বেধে রেখে ধর্ষণ করে এবং কাউকে জানালে তাকে মেরে পুকুরে ফেলে দেয়ার ভয় দেখায়। তাই প্রথম কাউকে কিছু জানাননি। পরবর্তীতে তিনি মেয়ের কাছে ঘটনা জানতে পেরে আশপাশের লোকজনকে জানান। পরে শনিবার গ্রামের মাতব্বররা সালিস ডেকে রুবেলকে জুতাপেটা করেন।
তিনি বলেন, এলাকার মুরব্বিদের অনুরোধে সালিশ বৈঠকের মাধ্যেমে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। সালিশ বৈঠকে রুবেলকে জুতাপেটা করা হয়েছে।
যেহেতু মেয়ের বিষয় তাই আইনি ব্যবস্থা নেননি বলে জানান তিনি।
মধুপুর গ্রামের মতি শেখের বাড়িতে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে বাচ্চু শেখ ও শামীম শেখের নেতৃত্বে এলাকার অন্যান্য মাতব্বররা উপস্থিত ছিলেন।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ধরনের ঘটনায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার আইনগত কোনো বিধান নেই। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্ত ও সালিশদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available