ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলছে ফসল ঘরে তোলার উৎসব। ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সদরপুরের কৃষকেরা। কার্তিকের শুরু থেকেই আমন ধান কাটা শুরু হয়। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় ৬০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ, চলছে মাড়াই ও শুকানোর কাজ। গ্রাম-গঞ্জে শুরু হয়েছে নতুন ধান ঘরে তুলে তা দিয়ে বিভিন্ন রকম পিঠা-পায়েশ তৈরির উৎসব।
উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে পেকে আছে সোনালি ধান। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এবং তুলনামূলক ধানের রোগবালাই কম থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায় জানান, চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ৬২৯১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষক মোস্তফা শেখ জানান, এবার ৭ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। আশা করছেন, প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন হবে ২৮ থেকে ৩০ মণ।
সতের রশি গ্রামের অপর এক কৃষক সালাম মিয়া বলেন, স্থানীয় অনেক কৃষক এবার রোপা আমন চাষ করেছেন। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় এবং বৃষ্টির কারণে তাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে যে সকল আমন চাষী দেরি করে ধান রোপণ করেছেন তারা বেশি লাভবান হবেন।
স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন বলেন, আমি গত কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন জাতের ধানের ব্যবসার সাথে জড়িত আছি। গত বছর আমি প্রতি মণ ধান ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা দরে ক্রয় করেছি। প্রতিমণ ধান ক্রয় ও সংরক্ষণে আমার খরচ পরেছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। ধারণা করছি, এবার ধানের মূল্য কিছুটা বেশি যাবে।
এলাকা ঘুরে জানা যায়, ধান আবাদে কৃষকদের খরচ ভিন্ন। যে সকল কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত তারা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন প্রকার অনুদান পেয়ে থাকেন। যারা তালিকা ভুক্ত কৃষক নন, তাদের উৎপাদন খরচ একটু বেশি হয়। সরকারিভাবে যদি সকল কৃষককে তালিকাভুক্ত করা হয় তাহলে উৎপাদন আরও বাড়ানো যাবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available