জলিল আহমেদ, তালতলী প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলী বাজারের পশ্চিম দিকে খোট্রার চর এলাকার ডেবে যাওয়া সংযোগ সেতুটি দীর্ঘ ১৬ বছরেও সংস্কার হয় নি। শুধু সংযোগ সেতুই নয়, ওই এলাকার কাঁচা রাস্তাটিও সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। সেতুটি দ্রুত সংস্কার না হলে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশংখা রয়েছে। উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার অসহায় মানুষ ঘুরছেন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দফতরের দ্বারে দ্বারে। ভোগান্তিতে খোট্রারচর গ্রামের বাসিন্দা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের খোট্রারচর ও মাছবাজার সংলগ্ন জেডি ঘাট খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয়েছে। ডেবে যাওয়া সংযোগ সেতুটি ২০০৭ সালের ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় সিডরের আঘাতে সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙে ও ডেবে যায়। দীর্ঘ ১৬ বছরেও ডেবে যাওয়া সংযোগ সেতুটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। খোট্রারচর এলাকার সংযোগ সেতু ও কাঁচা রাস্তাটি ও সংস্কার হয় নি। কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করে। দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়ন একাংশ খোট্টারচর এলাকা পায়রা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এখানকার মানুষ ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব মানুষের উপজেলা শহরে যাওয়ার একটি মাত্র সংযোগ সেতু। প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে এই সেতু দিয়ে। এই সেতুটির নিচের লোহার পাইলিং ভেঙে গিয়ে আলাদা হয়ে গেছে। বন্যার আঘাতেও বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া সেতুটি একদিকে হেলে পড়েছে ছোট কোনো যানবাহনও চলাচল করতে পারে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ ১৬ বছরেও ডেবে যাওয়া সংযোগ সেতুটি সংস্কার হয় নি। ২০০৭সালে সিডরের পড়েই সেতুটি এমন অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ দূর করার চেষ্টা করেনি কেউ।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও যেন ঠুলি পরে বসে আছেন। বর্তমানে একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কৃষকদের অভিযোগ সেতু ও রাস্তা দুটোই চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় জনতা। স্কুলে যেতে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। রোগীদের সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় বেড়েছে খরচ। আবার রাস্তার এ দুরবস্থায় স্থানীয় কৃষিপণ্য সময়মতো বাজারজাত না করার ফলে দীর্ঘায়িত হয়েছে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এতে কৃষকের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
স্থানীয় ফয়জার আলী ও জামেলা বেগম জানান, শুকনা মৌসুমে কোনোমতে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টি আর বন্যার সময় কষ্টের সীমা থাকে না। তারা আরও জানান, সেতু তো ঝুঁকিপূর্ণ। এর বাইরে সংযোগ রাস্তার দুরবস্থাও স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড.মো. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ব্রিজটি আমার ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী খোট্রারচর এলাকাবাসীর যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।ডেবে যাওয়া ব্রিজটি ঝুঁকি পূর্ণ জেনেও প্রতিদিন হাজারও মানুষ বাধ্য হয়ে চলাচল করছে।
তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) মো. রাসেল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available