বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি: বামনা থানা পুলিশ ও বরিশাল আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) যৌথ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ২ দুর্ধর্ষ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ঢুষখালী গ্রামের আবদুল কাদের ওরফে ধলু খাঁনর ছেলে মো. বেল্লাল খাঁনন (৩৬) ও একই উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মো. রতন হাওলাদারের ছেলে মো. মিলন খাঁনন (২৮)।
২৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল এপিবিএন পুলিশ বামনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানা এলাকায় বেল্লাল ও মিলন নামের দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ২ ডাকাত দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিলো।
ডাকাত বেল্লাল খাঁনের বিরুদ্ধে বামনাসহ পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে ৫ টি ডাকাতি মামলা, ১টি অস্ত্র মামলা, ১টি সিঁধেল চুরি মামলা, ১টি হত্যা চেষ্টা মামলাসহ মোট ৮ টি মামলা রয়েছে। অপরদিকে ডাকাত মিলন খাঁনের বিরুদ্ধে বামনাসহ পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে ৩টি ডাকাতি মামলা, ১টি দস্যুতা মামলা, ১টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সে বামনা থানায় ১ টি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এছাড়াও ডাকাত বেল্লাল ও মিলন বামনা থানাসহ পার্শ্ববর্তী থানায় অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের সাথেও জড়িত।
গত ২০ নভেম্বর বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার পূর্ব বলইবুনিয়া গ্রামের আবু হানিফর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-০৯ (১১)২০২৩। ঐ মামলার সন্দেহভাজন আসামী ছিলেন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মো. বেল্লাল খাঁন (৩৬) এবং ডাকাত মো. মিলন খাঁন (২৮)।
উল্লেখ্য, ডাকাতির ঘটনায় ২০ নভেম্বর রাতে ১৩টি মামলার আসামি ডাকাত সরদার মালেককে স্থানীয় জনতা একটি দেশীয় পাইপগানসহ আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
কীভাবে গ্রেফতার হলেন জানতে চাইলে মিলন বলেন, এক নারী পুলিশ সদস্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পরিচয় দিয়ে প্রথমে আমার মোবাইল ফোনে কল করে। তারপর কথা বলতে-বলতে প্রেম হয়। তার সঙ্গে দেখা করার জন্য সহযোগী বেল্লালকে নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসি। তখন পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা ২ দুর্ধর্ষ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available