সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটায় জুমার বাড়ি বাজারে দোকান ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় বাধা দিতে গেলে দোকান মালিক এবং তার মাকে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি বাজারে ২৪ নভেম্বর ভোরে জনৈক মোতালেবের নেতৃত্বে জাহিদুল, জিহাদ ও খু্ট্টু মিয়াসহ ২০-৩০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগী জুয়েলের জমিতে নির্মাণাধীন পাকা দোকান ভাঙচুর করে এবং তাদের ভাড়াটিয়া মুরগি ব্যবসায়ীর মালামাল লুটপাট করে। এসময় জুয়েলের মাকে মারধর করে তার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। বাধা দিলে জুয়েলকে মারধর করে তার পরনের জামা-প্যান্ট ছিড়ে ফেলে।
জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি বাজারে ২ শতাংশ জমি নিয়ে ভুক্তভোগী জুয়েলের সাথে অভিযুক্ত মোতালেবের বিরোধ চলে আসছিলো। আদালতেও এ নিয়ে মামলা চলমান। সম্প্রতি আদালত থেকে রায় পেয়ে বিরোধপূর্ণ ঐ জমিতে দোকান মেরামতের কাজ করছিলেন জুয়েল। এ সময় মোতালেবের নেতৃত্বে জাহিদুল, জিহাদ ও খু্ট্টু মিয়া লাঠিসোঁটা নিয়ে দোকান মেরামতে বাধা দেয়। তারা এসময় জুয়েল ও তার মাকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোতালেবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দলিল সূত্রে এ জমির মালিকানা দাবি করছি। এখানে আমার ৫০ হাত লম্বা ১টি দোকান ছিলো। সেটি ভেঙ্গে পাকা ঘর উঠিয়েছে, সালিশি বৈঠকে বসার কথা তাও বসছে না, এজন্য আমরা দোকান ঘর ভেঙ্গে দিয়েছি ।
ভুক্তভোগী জুয়েল জানান, তারা আমাদের দোকান ঘর ভেঙ্গে দিয়ে টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদের উপর হামলার ঘটনায় সাঘাটা থানায় মামলা করবো।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিব হোসেন বলেন, দোকান ঘর ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিরোধপূর্ণ জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে মো. জুয়েল বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available