মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ জেলা হালকা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রকৃত শ্রমিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না করে অবৈধ ভোটারে পাতানো নির্বাচনের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনকে ঘিরে গ্রুপিংয়ের ফলে শ্রমিকদের মাঝে বিরাজ করছে উত্তেজনা, ঘটতে পারে যে কোনও অনাকাঙ্খিত ঘটনা। প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় শ্রমিকরা।
২২ নভেম্বর বুধবার নির্বাচন বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্রমিক ইউনিয়নের প্রকৃত ভোটারদের একাংশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠনতন্ত্র অনুসারে সঠিক নীতিমালা প্রনয়ন, নির্বাচন কমিশন গঠন, প্রকৃত ও বৈধ শ্রমিকদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত না করা, নির্বাচনী তফশিল সঠিকভাবে ঘোষণা না করা। এছাড়া নির্বাচনে ঘোষিত ৭০২ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ২০০ ভোটারই প্রকৃত শ্রমিক নয়। তারা ইউনিয়ন থেকে দেয়া আগের ভোটার পরিচিতি পত্রধারী না, তাদের নাম ভোটার তালিকায় নেই।
প্রকৃত একাধিক শ্রমিকরা জানান, তাদের অনেকেই ৫ থেকে ২০ বছর ধরে যানবাহনের শ্রমিকের সাথে করছে। অনেকেরই শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে তাদের সদস্য পরিচিতি পত্রও আছে, কিন্তু তাদের ভোটার তালিকায় নাম নাই। অথচ যারা কোনদিনই যানবাহনের শ্রমিকের কাজে জড়িত ছিলো না এমন অনেককেরই ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। কয়েকজন ব্যক্তি স্বার্থে পাতানো নির্বাচন করছে। তাই নির্বাচন বন্ধে এবং প্রকৃত ভোটার তালিকা সংশোধন করে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা হালকা মটরযান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় প্রকৃত শ্রমিকদেরই থাকা উচিত। কিন্তু তা না করে নির্বাচন করা আইনগত বৈধ হবে না। নির্বাচন বন্ধ করে প্রকৃত শ্রমিকদের ভোটার করে নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন করার দাবি তার।
এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আলীম মিন্টু বলেন, নিয়ম অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। কারও কোন অভিযোগ থাকলে জানানোর জন্য সকলকে অবহিত করা হয়েছে। তবে যদি জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়ে থাকে তাহলে নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বেরসাথে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ও ৭০২ জন ভোটার তালিকাসহ গত ৫ নভেম্বর তফশিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available