সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীতে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দেশের বৃহৎ তিস্তা সেচ প্রকল্পের কাজ। ৭১২ কিলোমিটার ক্যানেলের মেরামত কাজ শেষ হলে ১ লাখ ৪ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাবেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে অনুপযোগী অনেক ক্যানেল সচল করা হয়েছে। এগুলো থেকে দেয়া শুরু হয়েছে সেচ। এ প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে অতিরিক্ত শস্য উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়বে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায়, শুস্ক মৌসুমেও তিস্তা নদীতে ২৫০০ কিউসেক পানি পাওয়া যায়। এ পানি দিয়ে তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকার ৩ জেলার ১২টি উপজেলায় ১৫ লাখ কৃষককে সেচ দেয়া সম্ভব। কিন্তু অনেক স্থানে সেচ ক্যানেল ব্যবহার অনুপযোগী, বিলিন কিংবা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি এতোদিন।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুর্নবাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয় ৭১২ কিলোমিটার ক্যানেল মেরামত ও নতুন ক্যানেল তৈরির কাজ। সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়নের ফলে ইতোমধ্যে সেচ সুবিধা পেতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২টি উপজেলার ৪১সমিতির ২৫২টি গ্রুপের মাধ্যমে ১৫ লাখ কৃষক এই সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। ১৪শত কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা পাবে কয়েক লাখ কৃষক।
কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ভাঙ্গাচোরা ও বিলিন হয়ে যাওয়া ক্যানেল সচল হওয়ায় হাতের নাগালে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এরফলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ অর্ধেকে নেমে আসা এমনকি এক ফসলী জমিতে ৩টি ফসল ফলানো সম্ভব হবে।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বছরে অতিরিক্ত ১ হাজার কোটি টাকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৩০ লাখ মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। এছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের উন্নতির পাশাপাশি রক্ষা হবে জীব বৈচিত্র।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available