গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নাটোরের গুরুদাসপুরের একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ২৫ নভেম্বর শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়ার বেলপুকুর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে একজনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এমএ জলিল।
নিহতরা হলেন, গুরুদাসপুরের চাপিলা ইউনিয়নের কান্তপুর গ্রামের ইনসাফ আলী (৭০), তার ছেলে লাবু মিয়া (৩৫), মেয়ে পারভিন বেগম (৩৩) ও নাতনি শারমিন (১৮) এবং মকিমপুর গ্রামের সিএনজি চালক মোখলেসুর রহমান (৪৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিএনজিটি যাত্রী নিয়ে রাজশাহী অভিমুখে যাচ্ছিল। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা টিসিবির পণ্যবাহী একটি ট্রাক নাটোরে যাচ্ছিল। মহাসড়কের পুঠিয়া অংশের বেলপুকুর এলাকায় এলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে নিহতদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। নিহত লাবুর স্ত্রী খালেদা বেগম ছেলে নাছির (৯) ও দুই বছরের মেয়ে মাওয়াকে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন আর বার বার শোকে মুর্ছা যাচ্ছেন।
চাপিলা ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানসহ স্থানীয়রা জানান, নিহত ইনসাফ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তাকে কেমো থেরাপি দেওয়ার জন্য রাজশাহী নেওয়ার পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই পরিবারে ইনসাফের ছেলেমেয়েদের মধ্যে আইয়ুব, সাইদ, শাহানারা ও আন্না বেঁচে রইলো। স্ত্রী সাহেরা বেগম অনেক আগেই মারা গেছেন।
নিহত পারভিনের স্বামী হাসান আলী কান্নারত অবস্থায় ছেলে পারভেজ (১২) ও মেয়ে জিম খাতুন (১৫) কে বুকে টেনে নিয়ে বলছেন, ‘মা হারা সন্তানদের নিয়ে এখন কি করবো খোদারে’।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জামিলুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে পুলিশ। নিহতদের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাক্কারুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available