নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় হালকা শীতের আমেজ বাইতে শুরু করেছে। একারণে হাসপাতালে শীতজনিত বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি, দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট। সপ্তাহের ব্যবধানে হাসপাতালে রোগাীর সংখ্যা বাড়ায় চিকিৎসক ও নার্সদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল হলেও এর কার্যক্রম চলে ১০০ বেডের এবং জনবল রয়েছে ১০০ বেডের। এখানে হাসপাতালের পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা মাত্র ১২ টি। কিন্তু রোগী ভর্তি রয়েছে ৫০ জনের বেশি। ষষ্ঠ তলায় মেডিসিন নারী ওয়ার্ডে ২৬ টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬৬ জন এবং সপ্তাম তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে ২৫ বেডের জায়গায় ভর্তি আছেন ৬৪ জন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করেও রোগীর সংকুলান হচ্ছে না। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শীতে রেগীরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২৩০ জন রোগী। হাসপাতালে হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিকিৎসক ও নার্সদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শীতে শিশুদের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্করাও। প্রতিদিনই ১৫-২০ নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া আউটডোরে শীতজনিত রোগে প্রতিদিনই ১০০-১৫০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে অন্যান্য ঔষধ সরবরাহ করা হলেও রয়েছে স্যালাইনের স্বল্পতা । এ কারণে রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাইরে ঔষধের দোকানে গত ৩-৪ মাস থেকে কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে। যদিও কোথাও কলেরা স্যালাই পাওয়া যায় তবে দাম আদায় করা হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা।
ঔষদের দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায় গত ৩-৪ মাস থেকে কলেরা স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা পাঠালেও কোম্পানিগুলো আর স্যালাইন দিচ্ছে না। আবার কিছু কোম্পানি স্যালাইনের সাথে প্যাকেজ হিসেবে অন্য ঔষধ কিনতে বাধ্য করছে। ফলে অনেকেই কলেরা স্যালাইন কিনতে আগ্রহী নন। যা কোম্পানীর সিন্ডিকেট বলে মনে করছেন দোকানীরা।
শহরের সুলতানপুর মহল্লার বাসীন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, তার ২ বছরের বাচ্চা হঠাৎ করে বিকেলে বমি করা শুরু করলে সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়েছে। কিছু ঔষধ হাসপাতাল থেকে পাওয়া গেছে, তবে স্যালাইনের স্বল্পতা থাকায় বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।
নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধূরী বলেন, শীতজনিত কারণে হাসপাতালে স্বাভাবিকের তুলনায় রোগীর চাপ কিছুটা বাড়ছে। রোগীদের অন্যান্য ঔষধ সরবরাহ করা হলেও স্যালাইনের কিছুটা স্বল্পতা রয়েছে। শীতের গরম পোশাক পরিধান করাসহ ঠান্ডা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বগুড়া থেকে দ্রুতস ঔষধ সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available