নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিটি নির্দেশনা মেনে চলতে। আমার কমপক্ষে ২ হাজার নেতা আছে যারা আমার চেয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন। যাদের কারণে আজ আমি এ জায়গায় আছি। তারা জানলে এখানে ৫০-৬০ হাজার লোক হয়ে যাবে। পরে বলবে নির্বাচন কমিশনের আইন আমরা ভঙ্গ করেছি। জনগণ একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন চায়। আমাদের সভানেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছে সেটা অক্ষর অক্ষরে পালন করা আমাদের দায়িত্ব। এখন থেকে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা বজায় রাখতে যা করা দরকার সেটা আমরা করবো। তাই এ জীবনে আমি প্রথম একা মনোনয়ন জমা দিতে এসেছি।
২৮ নভেম্বর বুধবার বিকালে ৩টা ৫০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কমিশনের অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এসময় তার পাশে তার পাশে ছিলেন ছেলে আইনজীবী অয়ন ওসমান ছিলেন। তবে কোন নেতাকর্মী না নিয়ে অনেকটা একা এসেই মনোনয়ন জমা দেন শামীম ওসমান।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন যেভাবে হওয়ার সেভাবেই হবে। আমরা ওদের নিয়ে চিন্তা করছি না। আমরা দেখছি জনগণের অংশগ্রহণ কতটা। যখন জনগণ ভোট দিতে আসবে তখন সেটাকে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন বলে। ইউরোপে জনগণের সব সুযোগ আছে। তাও সেখানে ত্রিশ শতাংশ ভোট পড়ে না, আমেরিকায়ও এমনই হয়। আমাদের টার্গেট যাকে ইচ্ছা ভোট দিন কিন্তু ভোটকেন্দ্রে আসুন। এটা আপনার অধিকার, ভোট দিন। নয়ত আপনি সরকারের সমালোচনা করার অধিকার রাখেন না।
তিনি বলেন, যে দেশে বিএনপি শেখ হাসিনাকে ২১ আগষ্ট মারার চেষ্টা করে। ১৬ জুন ২০০১ সালে আমরা তো মারাই গেছি। আমার ২০ জন ছেলে মারা গেছে। ইদানীং প্রধানমন্ত্রীকে মারার জন্য বিদেশীরা চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে মারার জন্য বিদেশে পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। বাংলাদেশে তো আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছেই, পুলিশও মারছে। ওরা তো কাল আপনাকেও প্রগতিশীল সাংবাদিক হিসেবে টার্গেট করতে পারে আমাকেও প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে টার্গেট করতে পারে। সে ধরনের খবর আমার কাছেও থাকতে পারে পুলিশের কাছেও থাকতে পারে। আমার কাছে থাকলে তাদের দেয়ার দায়িত্ব আমার, তাদের কাছে থাকলে আমার নিরাপত্তার সাথে চলাচলের জন্য বলার দায়িত্ব তাদের।
সাবেক বিএনপির এমপি গিয়াসউদ্দিনের মনোনয়ন সংগ্রহ ও প্রত্যাহার আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তার বিবৃতি দেখিনি। পত্রিকায় দেখেছি তার ছেলে যে আছে কাউন্সিলর তার সচিব এই মনোনয়ন নিয়েছে। তার সিসিটিভি ফুটেজ ও আইডি কার্ড সব দেয়া হয়েছে। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, একটা হল স্ট্যান্ডবাজি। আরেকটা হল নাম প্রচার করা ও মনোনয়ন কিনে অন্য কোন দলে ঢোকা। যখন সে দরজা বন্ধ হয়ে যায় তখন বলা যে আমি কিনি নাই। এটা নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করছে ও আমাদেরও বিব্রত করছে। বলবে আমরাই কিনিয়েছি তার সম্মানহানি করতে। আমার অনুরোধ যে এটা কিনেছে সেটা যদি তার মতামত না নিয়ে করে থাকে তাহলে এটা একটা অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের উচিত তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা কেন এটা করেছে। নাহলে এটাতে আমরা বিব্রত হচ্ছি, আমি নিজেও বিব্রত। আমরা তাকে নিয়ে ওভাবে চিন্তা করি না। হয়ত বিএনপির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে এ্যাকশান হবে, এজন্য বলছে। যে দিয়েছে তাকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না সেটা আমি এখনও বুঝতে পারছি না।
শামীম ওসমান বলেন, আজ রাস্তা হয়েছে মানুষ খুশি হয়েছে। রাজনীতিকে কেউ ব্যাবসা হিসেবে নেয় কেউ এবাদত হিসেবে, আমি এবাদত হিসেবে নিয়েছি। আল্লাহ যদি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে তাহলে এমন কিছু কাজ করব যেন মানুষ আমার মৃত্যুর পর আমার জন্য দোয়া করে, এটাই আমার লক্ষ্য। আমরা একবার নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করেছি এবার মাদকটা উঠিয়ে দিতে চাই। আপনাদের সকলকে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার করতে চাই। বড় বড় কাজগুলো সব করে ফেলেছি শেখ হাসিনার আদর পেয়েছি। আমি আমাদের এলাকাকে নতুন বৌয়ের মত সাজাতে চাই।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available