সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা মাঝ পথে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার। ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার ৪১টি কিন্ডারগার্টেনের ১ হাজার ৩৬০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়া হয়।
সরিষাবাড়ী উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, তাদের তত্ত্বাবধানে ২০০৮ সাল থেকে মেধা মূল্যায়ন ও বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও মেধা মূল্যায়ন ও বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এ বছর উপজেলার ৪১টি কিন্ডারগার্টেনের বিভিন্ন শ্রেণির ১ হাজার ৩৬০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শুক্রবার দুটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পৌর এলাকার সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া ইসরাইল আহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার আয়োজন করে উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জেলা প্রশাসকের বরাত দিয়ে দুই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ফোন করে পরীক্ষা বন্ধ করে স্কুল খালি করতে বলেন।
সরিষাবাড়ী কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের একাধিক শিক্ষক বলেন, এই পরীক্ষা সারা দেশে হচ্ছে। জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, জামালপুর সদর, পার্শ্ববর্তী ধনবাড়ী উপজেলাতেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের সরিষাবাড়ীর পরীক্ষা মাঝ পথে বন্ধ করে দেয়া হলো। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বয়ড়া ইসরাইল আহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহমুদ বলেন, আমার এখানে কিন্ডারগার্টেন এর পরীক্ষা চলছিলো। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইউএনও স্যার আমাকে ফোন দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করতে বলেন। আমি তাঁর আদেশে পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, এখানে তারা যেভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে, এভাবে পরীক্ষা নেয়ার কোনো বিধিবিধান আমাদের কাছে নেই। এটা তারা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিচ্ছিলো। আর এভাবে পরীক্ষা নেয়ার নিয়মও নেই। আর এই ধরনের পরীক্ষা অনুমতি ব্যাতিত নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে ডিসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করে তার নির্দেশে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর কোনো অনুমোদন নেই। সকালে আমি এই পরীক্ষার বিষয়ে মোবাইলে অভিযোগ পাই। তাছাড়া এই পরীক্ষার বিষয়ে বোর্ডের কোনো অনুমতি নেই। তাহলে তারা কীভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার কারণে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available