সাদ্দাম উদ্দিন আহমদ: ৫ টাকার নোটে যে মসজিদের ছবি দেখি আপনি কি জানেন সেই মসজিদটি কোথায় অবস্থিত! এটি নাওগাঁ জেলায় অবস্থিত কুসুম্বা মসিজদ। সুলতানি আমল পরবর্তীকালের স্থাপনার অনন্য নিদর্শন এ কুসুম্বা মসজিদটি নওগাঁ জেলার অন্যতম গৌরব ও ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করে। এলাকার নাম কুসুমবাগ থেকে কালক্রমে মসজিদটির নামকরণ হয় কুসুম্বা মসজিদ।
পূর্ব-পশ্চিমে ৪২ ফুট প্রস্থ, উত্তর-দক্ষিণে ৫০ ফুট লম্বা মসজিদটি অর্ধবৃত্তাকার ৬ গম্বুজ বিশিষ্ট। এছাড়াও চারপাশে রয়েছে আরও ৪টি গম্বুজ। পূর্বদিকে রয়েছে ৩টি প্রবেশদ্বার । মসজিদের গায়ে রয়েছে মনোরম লতাপাতার নকশা। সৌন্দর্য পিপাসুদের মন কেড়ে নেয় ৮কোনা আকৃতির গম্বুজগুলো।
মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল আকৃতির দীঘি। দীঘিতে নামার জন্য দুটি দৃষ্টিনন্দন সিড়ি রয়েছে। দীঘির শীতল পানিতে ওজু করেন মুসল্লীরা। আর দর্শনার্থীরা হাতমুখ ধুয়ে দূর করেন ক্লান্তি। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে গোসলও করে থাকেন।
প্রায় প্রতিদিনই পর্যটকরা আসে মসজিদটি দেখতে। মসজিদটিকে আরও আকর্ষণীয় করছে মসিজদের সামনের এই পুকুরটি। প্রতি বুধবার মসজিদের পাশের রাস্তার দুপাশে বসে মেলা।
মান্দা উপজেলা সদর প্রসাদপুর বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে মসজিদের অবস্থান। কুসুম্বা মসিজদ দেখতে যেতে হলে প্রথমে নওগাঁ যেতে হবে। প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে নওগাঁর উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। এসব বাসে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা আর নওগাঁ পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৬ ঘন্টা।
নওগাঁ বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি কিংবা মোটরসাইকেলযোগে সহজেই জাওয়া যায় কুসুম্বা মসজিদ ও পার্শবর্তী নদী দেখতে। মোটরসাইকেল জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ২০০-২৫০ টাকা। অপুর্ব সুন্দর এ মসজিদটি দেখলে যে কারও চোখ জুড়িয়ে যাবে।
মসজিদ দেখতে আসা পর্যটকরা সাধারণত রত্রিযাপন করেন না বিধায় ওই এলাকায় এখনও তেমন কোন আবাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। প্রয়োজনে থাকতে পারেন নওগাঁ শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ডএলাকায় এলাকার বিভিন্ন মানের হোটেল।
মসজিদের পাশে রয়েছে কয়েকটি মাঝারি মানের রেস্টুরেন্ট। সেখানে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে কম খরচে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available