ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিসমিল্লাহ নার্সারিতে ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের চারা উৎপাদনের পাশাপাশি দার্জিলিং, ম্যান্ডারিং, চায়না এবং ছাতকি জাতের কমলা পরিক্ষামূলক চাষে সফলতা পেয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
২০০১ সালে মাত্র ৩৩ শতক জমি নিয়ে ঘোড়াঘাট পৌরসভার নুরজাহানপুর এলাকায় নার্সারি গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর আলম। গত কয়েক বছরে নার্সারির পরিধি বেড়ে বিস্তার লাভ করে ৪ একর জমিতে। বর্তমানে নার্সারিতে বাহারি জাতের দেশী-বিদেশী ফলজ, ফুল, মসলা ও ঔষধি গাছ রয়েছে।
২০২০ সালের জুন মাসে জাহাঙ্গীর তার নার্সারির মধ্যে ১ একর জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন জাতের কমলার চাষ করেন। কমলা চাষের শুরুতে নানা শঙ্কা থাকলেও এখন তিনি সফলতার পথে। গাছে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙ্গের কমলা। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে কমলার বাগান দেখতে আসছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। কমলা বিক্রি করে এ বছর খরচ বাদে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কমলার বাগান দেখতে আসা দর্শণার্থী মো. রুহুল আমিন বলেন, এ রকম কমলার বাগান আগে কখনও দেখিনি। প্রতিটি গাছই কমলায় পরিপূর্ণ। কমলা ছিড়ে খেয়ে দেখেছি অনেক মিষ্টি। যার কারণে আমি নিজেও বাগান লাগানোর কথা ভাবছি।
নার্সারি মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩ বছর আগে আমার নার্সারির ১ একর জমিতে পরীক্ষামূলক কমলা চাষ করি। বর্তমানে বাগানে পরিপূর্ণভাবে কমলা ধরেছে, সুস্বাদু হওয়ায় এ কমলার অনেক চাহিদা। আমি বাগান থেকেই ৩২০ টাকা দরে কমলা বিক্রি করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, কমলা চাষের জন্য ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাসহ গ্রীষ্মকালে কমলা ক্ষেতে ছাঁউনি দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। গাছ প্রতি পটাশ ১২০ গ্রাম ও বোরণ ২০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি গাছের গোড়ার দিকে অ-প্রয়োজনীয় ডাল ছাঁটাইয়ের পরামর্শ প্রদান করেন।
ঘোড়াঘাটে কমলা চাষ বাড়াতে নানা পরার্মশ ও চাষে উদ্বুদ্ধ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available