• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:১৬:২০ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:১৬:২০ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

বছরের ৬ মাসই কষ্টে কাটে যমুনার জেলে-মাঝিদের

১১ ডিসেম্বর ২০২৩ দুপুর ০১:১৭:২৯

বছরের ৬ মাসই কষ্টে কাটে যমুনার জেলে-মাঝিদের

হাবিবুর রহমান, যমুনার পাড় ঘুরে এসে: বাংলাদেশ নদী প্রধান দেশ। দেশের বিভিন্ন জেলায় জালের মতো নদী-নালা, খাল-বিল ছড়িয়ে আছে। এসব ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করে জেলে ও মাঝি পেশার লোকেরা। বর্ষায় তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় জারি সারিসহ নানান গান।

এমনি একটি নদীর নাম যমুনা। বর্ষায় উত্তাল আগ্রাসী হয়ে উঠে এই নদী। কেড়ে নেয় ফসল, বাড়ি-ঘর ও কৃষকের স্বপ্ন। নদীতে ভাঙন শুরু হলে পাড়া, গ্রাম ও মহল্লা গিলে নেয়। জনপদ বিলীন করে নেয় যমুনা।

এমন দুঃখ, কষ্ট আর ভূমি-বসতবাড়ি হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়ে দিন পার করছে এখানকার মানুষ। এ অঞ্চলের জেলেরা জীবিকার তাগিদে রাত-দিন তাদের স্বপ্ন বুনেন যমুনার ঘোলা জলে ।

গভীর জলরাশি থেকে মাছ ধরে সূর্য পুব আকাশে মাথা বের করার আগেই ঘাটে ও গঞ্জে মাছ করা নিয়ে যায়। মাছ বিক্রির টাকায় হয় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণ। কোন কোন দিন মাছ না পেয়ে শূন্য হাতেও ফিরতে হয় তাদের।

এভাবে পাওয়া না পাওয়ার দোলাচালে জীবন আর্বতিত হয় যমুনার পাড়ের এসব মানুষের। পরিবারের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দেয়ার নিরন্তণ প্রচেষ্টা যেন জীবন জীবনের সাথী। এভাবেই চলে জেলে মাঝিদের বর্ষা মৌসুমের ৬ মাসের দিনকাল।

বাকি শুষ্ক মৌসুমে ৬ মাস চলে ভিন্ন চিত্র। নাব্যতা কমে গেলে মাঝিদের উপার্জন কমে যায়। ফলে কষ্টে চলে তাদের দিন। যমুনায় পানি কমে গেলে মাছও কমে যায়। দিন রাত কষ্ট করে যে পরিমাণ মাছ ধরেন, সে মাছ বিক্রির টাকায় পরিবারের ব্যয়ভার বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এসব তথ্য যমুনা নদীর পাড়ের নলিন চরের শশুয়া, চর গোবিন্দসহ কয়েক গ্রামের জেলে মাঝিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

চরশশুয়া গ্রামের গোলাম রব্বানী (৪৫) ও আব্দুর রহমান (২২) বলেন, তাদের চরে ৬ মাস পানি আর পানি। আর বছরের বাকি ৬ মাস ধূধূ বালুচর থাকে। ৬ মাস মাঝিরা নৌকা চালায়। বাকি ৬ মাস নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে উপার্জন কমে যায় তাদের। জেলেদেরও একই অবস্থা।

নলিন ঘাটের মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল বেলায় বাজারে কিছু নদীর মাছ এসেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়। বাকি সময় পুকুর বা বদ্ধ জলাশয়ের মাছ বিক্রি হয়।

বিক্রেতারা জানান, যমুনা নদীতে এ মৌসুমে তেমন মাছ ধরা পড়ে না। যে মাছ আসে, তা খুবই কম। জেলেরা সারা দিন বা রাতে যে মাছ ধরেন, তা বিক্রি করে তাদের পোষায় না। বাজারে যমুনা নদীর মাছের দাম বেশি।

স্থানীয় অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব জানান, যমুনা নদীতে সারা বছর পানি থাকে না। সারা বছর সমান মাছ ধরা ও নৌকা চালিয়ে সমান উপার্জন করার সুযোগ থাকে না।

চরের মানুষের মধ্যে  যারা দরিদ্র, ঈদের সময় তাদের চাল দেয়া হয় বলে জানান তিনি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ



সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৪:২০:৫২





আলু বীজের চড়া দামে দিশেহারা হাওরের চাষিরা
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:৩৬:৫৫