খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে প্রসীতপন্থি ইউপিডিএফের চারজন সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ৫৫-৬০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়েছে বলে জানা গেছে।
১১ নভেম্বর সোমবার গভীর রাতে পানছড়ি উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালের পর খাগড়াছড়িতে এটিই সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা।
নিহতরা হলেন- গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা।
নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে। সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যানপাড়ায়। লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নে। রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা পানছড়ির উপল্টাছড়ি ইউনিয়নের পদ্মিনীপাড়ায়।
ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ওই এলাকায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলনে যোগ দিতে এই চার নেতা সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে অতর্কি হামলা করে তাদের হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় আরও নিখোঁজ রয়েছেন ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক কাজের জন্য ৭ নেতাকর্মী গতকাল লোগাঙ এলাকায় যান। তারা রাতে অনিলপাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ছিলেন। আনুমানিক রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে হানা দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায়। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে চলে যায়।
তবে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। তারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা আমাকে জানিয়েছে। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available