সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের ওপর বসছে বাঁশের হাট। দীর্ঘদিন থেকে রেল লাইনে বাঁশের হাট বসলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি রেললাইন পারাপারের সময় এক ব্যবসায়ী ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন। পরে কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন রেললাইনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সময় রেললাইনের উভয় পাশ থেকে ৫ শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
দোকানগুলো উচ্ছেদ করার পর ওই দিন বিকেলেই আবার ওই স্থানে গড়ে তোলা হয় অবৈধ দোকানা। কিন্তু এরপর আর কর্তৃপক্ষ আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে ১ নম্বর রেলগেট থেকে দক্ষিণে রেললাইনের ওপর বাঁশের হাট বসিয়ে ব্যবসা করে আসছেন এক লোক। তিনি বলেন, আমি গরীব মানুষ। তাই রেললাইন পাড়ে বাঁশ নিয়ে এসে ব্যবসা করি। তবে বিনিময়ে রেলের লোককে টাকা দেই। ট্রেন এলে আমি আগেই সাবধানতা অবলম্বন করি। বাঁশগুলো আমি ভালভাবে সাজিয়ে রাখি, যাতে কোনো মানুষের গায়ে না লাগে।
রেললাইন দখল করে ব্যবসা করা নিষেধ, এ বিষয়ে ওই বাঁশ ব্যবসায়ী বলেন, সবাইতো দখল করে ব্যবসা করছে, আমি করলে দোষের কী আছে। বাঁশসহ রেললাইনের ওপর বিভিন্ন প্রকার ৫ শতাধিক দোকান রয়েছে। ওই দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন অর্থ নেয়া হয়। এটি নিয়ে থাকেন রেলওয়ে স্টেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
ট্রেনের এক চালক জানায়, সৈয়দপুর স্টেশনের ৫০০ গজ দূরে হোম সিগন্যালের কাছে রেললাইনের ওপর গড়ে উঠেছে বাজার। এখানে ট্রেন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রেল লাইনে মানুষের ভিড়ের কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেনের গতি কমাতে হয়।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন জানান, এটি দেখার দায়িত্ব ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধার। তিনি কেন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, তা আমার জানা নেই। তবে ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে রেললাইন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। তারপরও কয়েকদিন পূর্বে ওই দোকানগুলো উচ্ছেদে অংশ নেই। কিন্তু আবার তারা দোকান বসিয়েছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, বিভিন্ন সময়ে রেলপথের পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ বাজার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ বাজার বসানোর পিছনে যদি রেলওয়ে পুলিশের কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available