টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি : শীতের সময়টাতে অঞ্চলভেদে আঞ্চলিক বহু নাম থাকলেও শাখ আলু, ছেতর আলু ও কেশর আলু নামেই বেশি পরিচিত। কচকচে পানসে ও হালকা মিষ্টি স্বাদের এই আলু খেতে খুবই সুস্বাদু। যা কাঁচা খাওয়া যায়। এ ছাড়া পুষ্টিগুণেও ভরপুর। দেখতে অনেকটা লাটিমাকৃতি। যা এক ধরনের মিষ্টি আলুর প্রজাতি। এ জাতের আলু অনেকটা স্বচ্ছ সাদা ও ঘোলাটে সাদা দুই ধরনের হয়ে থাকে।
এ ধরনের কেশর আলু বালু মাটিতে চাষ ও উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। এ লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চ ফলনশীল কেশর আলু চাষে লাভবান হচ্ছেন টাঙ্গাইলের যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা। জেলার ভূঞাপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো এ আলু চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন চাষিরা।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গাবসারা ও অর্জনা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে কেশর আলুর চাষ করা হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে গাবসারা ইউনিয়নের রায়ের বাশালিয়া এলাকায়। বালুর নিচে গুপ্তধনের মতো থোকা-থোকা ধরে রয়েছে কেশর আলু। কোদাল দিয়ে বালুমাটি খুঁড়ে গাছের গোড়া ধরে টান দিলে গাছের সঙ্গে বালুর নিচ থেকে উঠে আসে কেশর আলু।
গাবসারা চরাঞ্চলের রায়ের বাশালিয়া এলাকার কেশর আলু চাষি রানা মিয়া জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সহযোগিতায় প্রথম বারের মতো ৯ বিঘা জমিতে কেশর আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘাতে ৫০ থেকে ৬০ মণ কেশর আলু উৎপাদন হয়েছে। প্রতি বিঘাতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা কেশর আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘার খরচের চেয়ে লাভ হচ্ছে দ্বিগুণ।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ূন কবীর এশিয়ান টিভি অনলাইনকে জানান, প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চলতি মৌসুমে এ উপজেলার ১০ হেক্টর জমিতে কেশর আলু চাষ করা হয়েছে। রানা নামে এক যুবক কৃষি উদ্যোক্তা এই আলু বেশি চাষ করে। আলুর পাশাপাশি ডাটাও চাষ করা হয়। কৃষি অফিস থেকে তাকেসহ অন্য চাষিদের সহযোগিতা করা হয়েছে। এতে কেশর আলু চাষে সফলতা পাওয়া যায়। আগামীতে বৃদ্ধি করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available