তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলীতে বিয়ের দাবিতে আল-মামুন নামের এক প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করছিলেন তারই এক ছাত্রী (১৮)। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও ৩ দিনেও বিয়ে না করায় মামুনসহ ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানা হয়েছে। এর আগে, বুধবার মধ্যরাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, ১১ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তালুকদার পাড়া এলাকার আমির হাসরের ছেলে আল-মামুনের বাড়িত গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন তারই এক ছাত্রী। বিয়ে না করা পর্যন্ত সে ওই বাড়ি থেকে যাবে না এবং প্রয়োজনে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
পরে তালতলী পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে মামুন ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। এরপর থেকে আর কোনো সাড়া না দিয়ে গা ঢাকা দেয় মামুন ও তার পরিবার। পরে বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে মামুনসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ওই ছাত্রী বলেন, স্কুল জীবন থেকে মামুনের কাছে প্রাইভেট পড়তাম। তখন থেকেই তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ ৮ বছরের সম্পর্ক। এর মাঝে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুন আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। বিয়ের কথা বললে তালবাহানা শুরু করেন মামুন। সম্প্রতি জানতে পারি মামুনের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হইছে। তাই আমি তার বাড়িতে এসে বিয়ের জন্য অনশন করছিলাম। আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও গত দুই দিন পার হলেও বিয়ে করেনি মামুন। পরে আমার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলন, এ ঘটনায় মামুনসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available