শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে মালয়েশিয়া প্রবাসী প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক নারী। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়ায় ওই নারীকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। এতে নিজের অবস্থান থেকে কিছুতেই সরে আসবে না বলে সাফ জানিয়েছে প্রেমিকা।
১৬ ডিসেম্বর শনিবার সকাল থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের প্রধানিয়া কান্দি এলাকার প্রেমিক আব্দুর রহিম চৌকিদারের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।
প্রেমিক আব্দুর রহিম চৌকিদার চরভাগা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড প্রধানিয়া কান্দি গ্রামের আজিজ চৌকিদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই নারী উপজেলার একই ইউনিয়নের চরভাগা ৯নং ওয়ার্ডের মাঝি কান্দি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর প্রেমিক আব্দুর রহিম বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।
অনশনরত ওই নারী জানান, আট বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক রহিম তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকেই রহিমকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে হয় বলে দাবি করেন তিনি।
ওই নারী আরও জানান, আমাদের মধ্যে অনেকবার শারীরিক মেলামেশাও হয়। মেলামেশার কারণে আমার পেটে বাচ্চা আসে। পরে বিষয়টি তাকে জানালে তার কথামতো বাচ্চা নষ্ট করে ফেলি। আর বিষয়টি উভয় পরিবারই জানতো। কিন্তু আব্দুর রহিম মালয়েশিয়া থেকে আসার পর পরিবার মেনে না নেওয়ায় অনশন শুরু করেছেন প্রেমিকা। এদিকে প্রেমিকা আসার পর রহিম বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিক। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে তিনি অনশন শুরু করেছেন। প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মঘাতি হবেন বলেও জানান ওই নারী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
মেয়ের বাবা মঙ্গল গাজী জানান, তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার মেয়েটাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে মারপিট ও নির্যাতন করছে। তারা টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইজ্জতের মূল্য তো আর টাকা দিয়ে পূরণ হয় না।
ছেলের বড় ভাই নূর মুহাম্মদ জানান, এক নারী সকাল থেকে আমাদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন। প্রতিপক্ষরা আমাদের হয়রানি ও ফাঁসানোর জন্য এমনটা করছে বলে তিনি দাবি করেন।
চরভাগা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাচ্চু প্রধানিয়া জানান, এ ঘটনাটির ব্যাপারে উভয় পক্ষের লোকজনের সাথে কথা হয়েছে এবং বিষয়টি যতদ্রুত সম্ভব সামাজিকভাবে মীমাংসা করতে বলা হয়েছে।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান জানান, এ নিয়ে ওই নারী এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available