লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: আলোচিত যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম (৩৭) হত্যা মামলার রায়ে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বাকি ৫৪ আসামিদেরকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজশাহীতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দণ্ডিত ১৩ আসামি হলেন, লালপুর উপজেলার পুকুরপাড়া চিলান গ্রামের কুদ্দুস প্রামানিকের ছেলে সানা প্রামানিক, সেকেন্দারের ছেলে করিম ও খলিল, মো. বানুর ছেলে মতি সরদার, তৈয়ব আলীর ছেলে মকলেছ সরদার, মকলেছের ছেলে মহসিন, রুস্তম আলী প্রামানিকের ছেলে রানা, ফরজের ছেলে আনিসুর, লুৎফর প্রামানিকের ছেলে রাজ্জাক, শাহজাহানের ছেলে জার্জিস, কদিমচিলান গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে আবুল কালাম আজাদ প্রিন্স, আন্দারুর ছেলে মো. কালাম ও মাজদারের ছেলে মিজানুর রহমান। তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
নিহত খাইরুল উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পেশায় নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন। তার ছেলে জুবায়ের সপ্তম শ্রেণিতে ও মেয়ে খাদিজাতুল কুবরা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। তাঁর স্ত্রী লিপি খাতুন তিন মাসের সন্তানসম্ভবা ছিলেন।
আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, আদালত ১৩ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিনমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মামলার ৬৭ আসামির মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। একজন বিদেশে পালিয়ে গেছেন। সাজাপ্রাপ্ত ১৩ আসামি পলাতক রয়েছেন। তবে খালাসপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় যুবলীগ নেতা খাইরুলের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘিরে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি খাইরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করে তাকে হত্যা করা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available