সিলেট প্রতিনিধি: মেরামতকাজ শুরুর প্রায় চার মাস পর পথচারীদের জন্য উন্মোক্ত করে দেওয়া হয়েছে কিনব্রিজ। ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রিজ দিয়ে রিকশা, পথচারী ও লোকজন পারাপার শুরু হয়েছে। কিনব্রিজটি উন্মুক্ত করতে বুধবার সন্ধ্যায় দুই পাশে পথরোধ করে রাখা টিনের বেড়া অপসারণ করা হয়। তবে এই ব্রিজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিলেটের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর সূত্র জানায়, মোটরযান যাতে চলাচল করতে না পারে, সে জন্য দুই পাশে খুঁটি বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছে কিনব্রিজের তদারককারী প্রতিষ্ঠান। ফলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তবে ব্রিজ দিয়ে মোটরযান চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানালেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পথচারীদের পাশাপাশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
সিলেট সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, সেতুটি পুরোনো হওয়ায় সংস্কারকাজের পর যাতে মোটরযান চলাচল করতে না পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পথচারীরা হেঁটে পারাপারের পাশাপাশি রিকশা, মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যবস্থা রাখার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা ভারী কোনো যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।
মেরামতকাজের জন্য চার মাস ধরে কিনব্রিজ বন্ধ থাকায় সিলেটের উত্তর-দক্ষিণ অংশের বাসিন্দাদের যাতায়াতে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কিনব্রিজ বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে নগরের অভ্যন্তরে থাকা শাহজালাল ও কাজীরবাজার সেতু ব্যবহার করেছেন পথচারীরা। তবে সেই দু’টি সেতু শহরের দুই পাশে হওয়ায় ভোগান্তি বেশি পোহাতে হয়েছে। কিনব্রিজ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সুরমা নদীর দুই পাশের বাসিন্দাদের।
সওজ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জরাজীর্ণ কিনব্রিজ সংস্কারের বিষয়ে ২০২০ সালে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়। সেখানে সেতু সংস্কারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সওজের পক্ষ থেকে ব্রিজটি সংস্কারে মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পায় সওজ। একই বছরের জুন মাসে বরাদ্দের টাকা রেলওয়ের সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে নানা জটিলতায় সংস্কারকাজ হচ্ছিল না। অবশেষে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার পর গত ১৬ আগস্ট প্রথম দফায় দুই মাসের জন্য কিনব্রিজ দিয়ে চলাচল বন্ধ করে সংস্কারকাজ শুরু হয়। তবে সংস্কারকাজ দুই দফা পিছিয়ে শেষ হয় ১৫ ডিসেম্বর। এরপরও ব্রিজটি উন্মুক্ত করা হচ্ছিল না। অবশেষে ওই সেতুতে রাখা নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিলে বুধবার সন্ধ্যায় পথচারীরা সেতু দিয়ে পারাপার শুরু করেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available