মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে কথা কাটাকাটির জের ধরে মানিকগঞ্জ-২ আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থক হৃদয় (১৮) গুরুতর আহত অবস্থায় হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি রয়েছেন।
২৪ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে হরিরামপুর উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় দফায় আবারও হামলা হয়েছে বলে টুলুর সমর্থকরা দাবি করেছেন। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
আহত হৃদয় জানান, ‘২৪ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আবিদ হাসান বিপ্লবের সাথে হৃদয়ের কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির সময় তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুতফর রহমানকে ফোনে ডেকে আনেন। পরে লুৎফরের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা হয়েছে।’
এদিকে সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় দফায় উপজেলা চত্বরে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর আরও চার-পাঁচ সমর্থকের উপর নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন টুলুর সমর্থকেরা।
তবে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু হামলার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রার্থীর সমর্থকের উপর হামলা করিনি। আমরা উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণা করে উপজেলা থেকে চলে আসি।
দ্বিতীয় দফায় হামলায় আহত দাবি করে স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থক মাসুদুর রহমান জানান, ‘আমরা উপজেলা চত্বরে চায়ের দোকানে ছিলাম। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু, বলড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন কুন্নু, সরকারি বিচারপতি নুরুল ইসলাম কলেজের সাবেক ভিপি পল ভাইয়ের নেতৃত্বে নুরুল ইসলাম কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক দেলোয়ারসহ ১০ -১৫ জন লাঠি দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় যুবলীগ নেতা আনোয়ার মেম্বার, আলমাস মেম্বার, আবুল মেম্বার, আমি ও আফজাল ভাই আহত হই।’
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু অভিযোগ করে বলেন, নৌকার নির্বাচনের কাজ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আবিদ হাসান বিপ্লব বাড়ি যাবার পথে উপজেলা চত্বরে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, হামলা না আমরা উপজেলা চত্বর প্রদক্ষিণ করে চলে যাই।
নৌকা প্রতীকের সমর্থক জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আবিদ হাসান বিপ্লব বলেন, বিকেলের দিকে নির্বাচনী প্রচারণা মাঝে উপজেলা চত্বরে খেতে বসছি, এমন সময় উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুরের ছেলে নবীনুর দেওয়ান পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। পরে সন্ধ্যার দিকে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ওসি শাহ নুর এ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজের কর্মী ও নির্বাচনী সমন্বয়ক আবিদ হাসান বিপ্লবের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আর বিকেলে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু( ট্রাক) প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় মারধরে একজন আহত হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু (ট্রাক) প্রতীকের প্রার্থী কিংবা সমর্থকের মধ্যে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available