শরীয়তপুর প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৭টায় নড়িয়া উপজেলার পাইকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব বেপারি (৩০), সিদ্দিকুর রহমান (৩৫) ও হৃদয় মীর (৩০)। তারা প্রত্যেকেই নৌকা প্রার্থীর সমর্থক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকায় নৌকা প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীমের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে নির্বাচনী আলোচনা করছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব বেপারিসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী তার সমর্থকদের নিয়ে ওই পথ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার পথে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় ও অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। হামলায় আসাদুজ্জামান বিপ্লবসহ তিনজন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলার বিষয়ে আহত নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব বলেন, পুরো ঘটনাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী। তার উপস্থিতিতে তার কর্মী হারুন খলিফা ও আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে আমাদের ওপরে হামলা করা হয়। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। পিটিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। নৌকাকে থামানোর জন্যই তাদের এই হামলা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী মোবাইল ফোনে বলেন, আমার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল নড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। আজকে পাইকপাড়া হয়ে আমি পাশের একটি এলাকায় গণসংযোগে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি বিপ্লবের নেতৃত্বে কয়েকজন আমার কর্মীদের পথ রোধ করেন। তখন এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আহত হয়ে থাকতে পারেন। তারাও আমার কর্মী হারুন খলিফা ও আরিফ হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নড়িয়া উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ঘটনার খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক শামীম রাত ৮টার দিকে আহত নেতাদের দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দলের মধ্যে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য যুবলীগের ওই নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবিব বলেন, নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা শুনেছি। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থক তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার তথ্য পেয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এখনও তারা কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available