কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে দামামা বাজছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। নিজেদের এগিয়ে রাখতে সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রতিটি প্রার্থী। ভোটারদের মাঝেও তৈরি হচ্ছে নানা প্রশ্ন। দলীয় কিংবা স্বতন্ত্র সব প্রার্থীদের পোস্টার ব্যনারে ছেয়ে গেছে চারদিক।
কিশোরগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন কিশোরগঞ্জ-২ । কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া দুই উপজেলা মিলে এই আসনটি গঠিত। জাতীয় সংসদের ১৬৩ নং আসন এটি।
জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সর্বশেষ তথ্যমতে, দুই উপজেলা মিলে এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫২ হাজার ৩১২ জন। এর মধ্যে কটিয়াদীতে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০৬ জন। এবং পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮০৬ জন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের টিকিট পেতে এই আসনে আলোচনায় রয়েছেন হেভিওয়েট ৩ প্রার্থী। এর বাইরে প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন এই ৩ প্রার্থী। এই আসন এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক পেয়েছেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যামামলা ও একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হত্যামামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ।
এছাড়াও স্বতন্ত্র থেকে তার হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সাবেক দুই সাংসদ অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন (ঈগল) ও মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে সোহরাব উদ্দিন নৌকা প্রতীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে এলাকার বেশ কিছু উন্নয়ন কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। ফলে এবারও এই আসন দলের সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
অপরদিকে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের বিপরীতে নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য বিএনপির বহিস্কৃত নেতা মেজর (অবঃ) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। নির্বাচনী প্রচারণায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সামনে এনে তিনি ও বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় দলীয় মতাদর্শের বাইরে গিয়ে কাজ করায় একাধিকবার বহিস্কৃত হয়েছেন তিনি। সাধারণ ভোটারদের অভিমত, নৌকা ও ঈগলের ভোট বিভাজনের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন আখতারুজ্জামান রঞ্জন।
এছাড়াও আখতারুজ্জামান রঞ্জনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন বর্তমান সংসদ ও সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ। এরকম সিদ্ধান্তও প্রভাব ফেলেছে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে। তার এলাকার স্থানীয় ভোটারদের কাছে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব তিনি। ফলে জনপ্রিয়তার বিচারে এগিয়ে থাকতে পারেন আখতারুজ্জামান রঞ্জন।
এছাড়া ৩ প্রার্থীই সাধারণ ভোটারদের কাছে পরিচিত নাম। দলীয় বিভক্তি, স্বতন্ত্রের দাপট ও ভোটের মাঠে কোন্দলের ফলে আসনটিকে ঘিরে বইছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ প্রার্থীদের উপর আস্থা রেখে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আলোচিত ৩ প্রার্থী ছাড়াও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে অংশ নিচ্ছেন এনপিপি মনোনীত প্রার্থী আলেয়া, গণফ্রন্টের প্রার্থী তৈয়ব মো. রেজাউল কবীর,গণতন্ত্রী পার্টির আশরাফ আলী ও বিএনএফ প্রার্থী মো.বিল্লাল হোসেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available