আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: প্রচারণা ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের নৌকার কান্ডারী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি চষে বেরিয়েছেন কসবা ও আখাউড়ার সর্বত্র। কাগজের হিসেবে থাকলেও মাঠে নেই অপর দুই নতুন প্রার্থী। বলা যায়, আনিসুল হক পুনরায় এমপি নির্বাচিত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আনিসুল হক আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক নিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর তাঁর নির্বাচনী এলাকায় মাজার জিয়ারত করা ও স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এরপর তিনি গিয়েছে এই আসনের মানুষের দ্বারে দ্বারে।
এই আসনের অপর দুই প্রার্থী এনপিপি’র প্রার্থী শাহীন খান (আম) ও তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ (ফুলের মালা) প্রতীক নিয়ে শহরে কয়েকটা পোস্টার সাঁটিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতার জানান দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনী মাঠে তাদেরকে তেমন কোন গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি।
পক্ষান্তরে টানা তৃতীয় বার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনিসুল হক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা সত্ত্বে গণসংযোগ আর সভা সমাবেশে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। প্রতীক পেয়েই তিনি এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন। অনেক ইউনিয়ন পর্যায়ে বড় জনসভাসহ পথসভা করেছেন। প্রতিটি সভায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তিনি ১০ বছর জনগণের সেবা করেছেন দাবি করে ভোটারদেরকে কেন্দ্র গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এদিকে এনপিপি’র প্রার্থী শাহীন খান ও তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ এলাকায় ভোটারদের কাছে অপরিচিত। ২ দিন গনসংযোগ করে পরিচিতি জানান দিয়েছেন তারা, তবে কোন সভা-সমাবেশ করতে দেখা যায়নি তাদের।
এক নির্বাচনী জনসভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। অনেকে প্রশ্ন করেন, আমি কেন প্রত্যেক ইউনিয়নে মিটিং করছি। এর কারণ হল, আমি কসবা আখাউড়াবাসীকে ভালোবাসি। আমি এও জানি আপনারাও আমাকে ভালোবাসেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন মুখ্য নয়। এই ভালোবাসার টানেই পরস্পর পরস্পরকে দেখতে যাই। ১০ বছর আপনাদের সেবা করে উন্নয়ন করেছি। ভালোবাসার দাবিতে আপনাদের ভোট চাই। আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে সারাবিশ্বকে দেখাবেন আপনারা আমাকে ভালোবাসেন।
৫ জানুয়ারি আনিসুল হক কসবা উপজেলায় কুল্লাপাথর শহিদ সমাধি, আখাউড়া উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধি ও মুক্তিযুদ্ধের সময় শহিদদের গণকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেন।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এলাকার শত শত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিয়েছে। অতীতে অনেক সংসদ সদস্য ছিল, কিন্তু উনার মত কেউ মানবসেবায় নিয়োজিত ছিল না। এর মধ্যে আনিসুল হক আসার পরে যেমন মানব উন্নয়ন হয়েছে, ঠিক সেইভাবে রাস্তাঘাট অবকাঠাম উন্নয়ন হয়েছে। গরিব অসহায় নিপীড়িত নির্যাতিত অনেক মানুষের উপকারে এসেছে। সর্বোপরি আমি মনে করি, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্র গিয়ে গণজোয়ার সৃষ্টি করে ভোটের মাধ্যমে উনাকে আমাদের ভালোবসা দেখাতে হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available