নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যুবক আল আমিন হত্যা মামলায় আপন বড় ভাইসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব ১১।
আটকরা হলেন- সৈয়দ হোসেন সাগর, মো. কবির হোসেন, নাসিমা বেগম ও মো. ইউসুফ। এরমধ্যে মো. ইউসুফ হত্যার শিকার আল আমিনের বড় ভাই। আটক সবার বাড়ি সোনারগাঁয় উপজেলার সনমান্দি গ্রামে।
৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আটকের বিষয়টি জানিয়েছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
তিনি জানান, গত ১৭ জানুয়ারি সোনারগাঁ থানাধীন হামছাদি এলাকা থেকে আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ভিকটিমের মা অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাতে ৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, নিহত আল-আমিন এলাকায় চুরি ও ছিনতাই করত। এ জন্য প্রায়ই পরিবারকে বিব্রত হতে হতো। শালিস বৈঠকও হয়েছে। চুরি ছিনতাই থেকে বিরত রাখতে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। গত ৯ জানুয়ারি সে শিকল খুলে পালিয়ে যায়। পরে ফের চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে ভেবে স্থানীয়রা ভিকটিমের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়।
লেঃ কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, র্যাবের ছায়া তদন্তে ভিকটিমের পরিবারের অনিহা এবং অসহযোগিতা পরিলক্ষিত হলে ভিকটিমের বড় ভাই ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। তার বক্তব্য মতে, ভিকটিম চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত থাকার কারণে তার প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ভিকটিমের চাচাতো ভাই সৈয়দ হোসেন সাগর, প্রতিবেশী কবির এবং জহির তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভিকটিমকে তার বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ফসলের মাঠে নিয়ে সৈয়দ হোসেন সাগর, কবির এবং জহির গামছা দিয়ে মুখ বেধে মারধর করছে বলে ভিকটিমের মা জানতে পারে। বিষয়টি ভিকটিমের মা তার বড় ছেলে ইউসুফকে জানালে ইউসুফ ঘটনাস্থলে আসে এবং তার ভাইকে মারধর না করতে অনুরোধ করে। পরবর্তীতে ইউসুফ তার কর্মস্থল মুগড়াপাড়া পুরাতন সেবা ক্লিনিক চলে যায়। রাতে ফিরে সে ঘটনাস্থলে পুনরায় যায় এবং সেখানে তার মা, মামা শহীদুল্লাহ এবং সৈয়দ হোসেন সাগর, জহির এবং কবিরকে দেখতে পায়। ইউসুফ তার মাকে তার ভাই আল-আমিনের কথা জিজ্ঞাসা করলে সে জানতে পারে যে আল-আমিনকে সৈয়দ হোসেন সাগর, কবির এবং জহির মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জমির আইলের উপর রেখেছে। ঘটনাস্থলে অভিযুক্তরা ইউসুফ, তার মা ও মামাকে মুখ খুললে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, ১৭ জানুয়ারি আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধারের পর মামলা করতে গেলে সৈয়দ হোসেন সাগর ভিকটিমের পরিবারকে মামলা না করতে বলে এবং তদন্তে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available