মোহাম্মদ আবির, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগর থানার আলোচিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায় জড়িত ডাকাত দল পুনরায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দলের সর্দারসহ ৬ জনকে আটক করেছে র্যাব-৯।
৩০ জানুয়ারি সোমবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুরা বাজারের পাশে ফান্দাউক থেকে ছাতিয়ানগামি পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা র্যাব-৯-এর অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উইং কমান্ডার মো: মোমিনুল হক।
তিনি বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানা চাপড়তলা ইউনিয়নের চাপরতলা টু খান্দুরা সড়কের বড়ইউড়ি গ্রামের পাশে ওরস থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রসহ রাস্তার উপর চলন্ত গাড়ি থামিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্রসহ মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ডাকাতি করে। এসময় সিএনজি, অটোরিক্সার ড্রাইভারসহ অর্ধশত যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় ২৮ জানুয়ারি সিএনজি চালক বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দায়ের করে।
আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য জোরদার করে লুন্ঠিত মোবাইলের সূত্র ধরে ডাকাতদের অবস্থান সনাক্ত করে তাদের ৬ জন ডাকাতকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাসিরনগরে ডাকাতির ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
ডাকাতির ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার উড়ালকুল গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে মোঃ আবুল কালাম (২৬), লাখাই থানার মুরিআগ গ্রামের মোঃ জসিম মিয়া, লাখাই থানার বামৈ কাটিয়ারা গ্রামের মোঃ রিপন মিয়া, লাখাই থানার বামৈ পশ্চিম গ্রামের মোঃ লাভলু মিয়া, লাখাই থানার বামৈ পশ্চিম গ্রামের মাহমুদুল হাসান জুয়েল (৩৫) ও লাখাই থানার বামৈ পশ্চিম গ্রামের সবুজ সরকার।
এসময় হবিগঞ্জ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো: নাহিদ হাসান ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available