ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফরসহ ১৩ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।
ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫১৫টি। জামানত রক্ষা করতে হলে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হিসাবে ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোটের কম যারা পেয়েছেন, তারা জামানত হারাচ্ছেন।
ফরিদপুর-১ আসনে প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন, বিএনএম প্রার্থী শাহ্ মো. আবু জাফর, জাতীয় পার্টির মো. আক্তারজ্জামান খান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. নূর ইসলাম সিকদার। শাহ মো. আবু জাফর ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৪৬৫টি, মো. আক্তারজ্জামান খান পেয়েছেন ১ হাজার ৩৫৯ এবং নূর ইসলাম সিকদার পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৯ ভোট।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। জামানত রক্ষা করতে এ আসনে প্রত্যেক প্রার্থীর ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ২৬ হাজার ৬২৮টি করে। জামানত হারাচ্ছেন বিএনএমের গোলাম রব্বানী খান। তিনি পেয়েছেন মাত্র ২৯২টি ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩২১টি ভোট। অপর দুই প্রার্থী জাতীয় পার্টির এস এম ইয়াহিয়া পেয়েছেন ৫৮৩ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম এ মুঈদ হোসেন পেয়েছেন ৪৪১ ভোট।
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে সাত প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। জামানত রক্ষা করতে এ আসনের প্রত্যেক প্রার্থীর ভোট পাওয়ার দরকার ছিল ৩৪ হাজার ৬৬৯টি করে। জামানত হারাচ্ছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের নাজমুন নাহার (৫৩৬ ভোট), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মাকসুদ আহম্মেদ মাওলা (৪০১ ভোট), জাতীয় পার্টির মো. আনোয়ার হোসেন (৬০৬ ভোট), তৃণমূল বিএনপির প্রিন্স চৌধুরী (৪৫৮) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আলমগীর কবির (১৭৮ ভোট)।
ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, জামানত রক্ষা করতে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের নূন্যতম এক ভাগ পেতে হয়। যেসব প্রার্থী ওই পরিমাণ ভোটের তুলনায় কম ভোট পেয়েছেন, তারা জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available